প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতার সাতক্ষীরায় গাড়িবহরে হামলার ১৯ বছর আজ।
২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ।ঘটনার ১৯ বছর পর এ রায় দিচ্ছে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এর আগে, ২৭ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষে মামলার আসামি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন দাবি করে, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।মামলায় ৫৪ আসামির মধ্যে ৪ জন মারা গেছেন, ৩৪ জন গ্রেপ্তার ও ১৬ জন পলাতক।
গত ৪ ডিসেম্বর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এতে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সাতক্ষীরায় একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখে মাগুরায় ফিরার পথে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলারোয়ায় পৌঁছাতেই সড়কে একটি বাস আড় করে দিয়ে তার পথরোধ করা হয়।এ সময় জটলা সৃষ্টি হলে সেই সুযোগে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা ইট-পাটকেল ও জুতা স্যান্ডেল ছুড়ে সহিংসতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।এতে শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার সফরসঙ্গী অনেকে আহত হন। পরে এ ঘটনায় মামলা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতার সাতক্ষীরায় গাড়িবহরে হামলার ১৯ বছর আজ।
২০০২ সালের ৩০শে আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে সড়কপথে ঢাকায় ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে।
শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে আহত হন শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় নেতা–কর্মী ও সাংবাদিক।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০ থেকে ৭৫ জনকে আসামি করে মামলা করতে গেলে তা রেকর্ড করেনি পুলিশ।
ঘটনার ১২ বছর পর ২০১৪ সালের ১৫ই অক্টোবর সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করা হলে কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করার আদেশ দেয়া হয়।তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ই মে হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ হত্যাচেষ্টা,বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বিচার শেষে চলতি বছরের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় আদালত।৫০আসামির মধ্যে ১৫ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
বিডি// নিজস্ব প্রতিবেদক দৈনিক তোকদার নিউজ.কম এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ,তথ্য,ছবি,আলোকচিত্র,রেখাচিত্র,ভিডিওচিত্র,অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।