নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের পাবই কান্দি এলাকায় চাঁদা না দেওয়ায় আনোয়ারা-আক্কাছ মহিলা মাদ্রাসার নির্মাণকাজে বাধা দিচ্ছে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু চক্র। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার জন্য পৈতৃক জমিতে স্থাপনা নির্মাণে গেলে এই চক্রের চাপ ও হুমকির মুখে পড়েন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাবইকান্দি এলাকার জাকিরের ছেলে রফিক, খায়রুল, সাইফুল, তাজুল, উজ্জ্বল, মুজিবুর ও হাফিজসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার নির্মাণকাজে বাধা, হুমকি-ধমকি এবং বিভিন্ন অবৈধ কর্মযজ্ঞ চালিয়ে আসছে।
এ ঘটনায় লতিবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে মোকদ্দমা নং—১১/২০২৫ এর শুনানিতে উভয় পক্ষ উপস্থিত হলে তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে রফিক–জাকির গংকে দোষী সাব্যস্ত করে মাদ্রাসার পক্ষে রায় দেন গ্রাম আদালত।
একই বিষয়ে কিশোরগঞ্জ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারায় করা মামলার (মো. নং—৯৫/২০২৪) তদন্তেও ভূমি কর্মকর্তাদের গঠিত তদন্ত কমিটি ডা. আক্কাছ উদ্দিনের (মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ) পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করে। কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির উকিল দরবারেও রফিক–জাকির গংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
এরপরও চাঁদা না পেয়ে চলতি বছরের ০৩ নভেম্বর মাদ্রাসার নির্মাণকাজ শুরু হলে রাজমিস্ত্রীদের ওপর হামলা ও কাজ বন্ধ করে দেয় অভিযুক্ত চক্র। এমনকি তারা মাদ্রাসার ইট-বালু ও নির্মাণসামগ্রী লুটপাট, জমিতে অনধিকার প্রবেশ এবং সাইনবোর্ড অপসারণের মতো কর্মকাণ্ডও চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ডা. আবুল খায়ের বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ডা. আক্কাছ উদ্দিন চাকরিসূত্রে তাড়াইল হাসপাতালে কর্মরত থাকার সুযোগে ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ভূমিদস্যুরা বিভিন্ন কৌশলে জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা কমিটির দাবি, সন্ত্রাসীচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজ নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
কিশোরগন্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে