মোঃ সোহেল রানা রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভার দীর্ঘ সময়ের নজির ভেঙে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ৪০ লাখ টাকার বকেয়া বেতন পরিশোধ করলেন দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সাবরিনা শারমিন। বকেয়া বেতনভাতা, গ্রাচুইটি ও ভবিষ্যৎ ভাতা পেয়ে মহাখুশি ও আনন্দিত পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এতে আনন্দিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারপ্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
গত (২৯ সেপ্টেম্বর) সোমবার দুর্গাপুর পৌরসভা কার্যালয়ে ১৭ জন স্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারী বকেয়া বেতন, গ্রাচুইটি ও ভবিষ্যৎ ভাতা বাবদ ৩২ লাখ ২৬ হাজার ২৫২ টাকা ও পৌরসভার সাবেক সহকারি প্রকৌশলী আবুল কাশেম খানকে ১২ বছরের গ্রাচুইটি ও ভবিষ্যৎ ভাতা বাবদ ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬২০ টাকা সর্বমোট ৩৭ লক্ষ ৮৪হাজার ৮৭২ টাকা পরিশোধ করা হয়।
পৌর সহকারী প্রকৌশলী শাহাবুল হক বলেন, ইউএনও সাবরিনা শারমিন স্যার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ২ বারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করলেন তিনি। এখন থেকে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সকল বেতন পরিশোধ থাকলো সবাই বকেয়া বেতন পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন এ সরকারের মেয়াদে পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবরিনা শারমিন এর কারণেই এই পরিবর্তন হয়েছে। যা গত ১৫ বছরে কেউ করতে পারেন নি।
এক দিকে যেমন পৌর ভবনের অভ্যন্তরীন সাজ সজ্জাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘ সময়ের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। যার ফলে সবার মাঝেই নতুন করে কাজ করার মানষিকতা তৈরি হয়েছে। বর্তমান প্রশাসনের সুন্দর পদক্ষেপের ফলে পৌরসভা থেকে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের প্রাপ্য ভাতা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে প্রদান করা হচ্ছে। বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের খামখেয়ালী আচরণের কারণে পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা মাসিক বেতন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা ঠিকমত কাজে মনোযোগ দিচ্ছিলনা বলেও জানান একজন কর্মচারী।
দুর্গাপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) শাহাবুল হক জানান, বিগত সময়ে আমরা নিদারুন কষ্টে ছিলাম। বকেয়া বেতন পেয়ে খুব খুশি। হিসাব রক্ষক হাবিবুর রহমান জানান বর্তমান প্রশাসক মহোদয় আমাদের বকেয়া বেতন গ্রাচুইটি ভবিষ্যৎ ভাতা পরিশোধ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। সেই সাথে পৌর প্রশাসক মহোদয়ের একান্ত আন্তরিকতায় দুর্গাপুর পৌর এলাকায় এডিপি’র অর্থায়নে রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নসহ বিভিন্ন ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সাবরিনা শারমিন বলেন, আমি চেষ্টা করেছি সবার মাঝে কর্ম চাঞ্চল্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য, যেন তারা সউদ্যমে কাজ করতে পারে নাগরিক সেবায় নিজেকে সম্পূর্ণ নিয়োজিত করতে পারে। কারণ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে কর্ম চাঞ্চল্যতা থাকলে সঠিক ও দ্রুত সেবা পাবে পৌরবাসী।
তিনি আরো বলেন, পৌরসভায় দায়িত্বভারের পর থেকে দুর্গাপুর পৌরসভা বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার, বর্ষায় পানি নিষ্কাশন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আগামিতে দুর্গাপুর পৌরবাসীর সহযোগিতায় পৌরসভার সকল উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি