নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের গাইটাল বাসষ্ট্যান্ড থেকে কাশেম কন্ট্রাক্টর মসজিদ দিয়ে উপজেলা সদরের রাস্তাটি অতীব জন গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন উপজেলায় কর্মরত সিংহভাগ অফিস স্টাফ ও এতদ অঞ্চলের অধিবাসীরা উক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। শহর সহ বিভিন্ন স্থানে যেতে হলে উক্ত রাস্তা দিয়ে যেতে হয় কিন্তু রাস্তাটি দীর্ঘ দিন যাবত সংস্কার না হওয়া এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায়। বিশেষ করে মসজিদে পুর্ব দিকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো আব্দুল কদ্দুসের বাসার পাশে বাঁকে নিচু হওয়ায় এখানে এতদ অঞ্চলের পানি জমা হয়। কিন্তু নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় স্থানটিতে হাটু পানির উপর হওয়ায় উক্ত রাস্তা দিয়ে বাসিন্দাদের চলাচল দুরূহ হয়ে উঠছে। ফলে স্থানীয় অধিবাসীরা বর্ষার মৌসুমে এক প্রকার পানি বন্দী হয়ে থাকতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো আব্দুল কদ্দুস জানান, রাস্তাটি দীর্ঘ দিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই ভালো দিনে চলাচল করতে অসুবিধা হয় কিন্তু বর্ষার মৌসুমে তলিয়ে যাওয়ায় পায়ে হেটে যাওয়া পথচারীদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে উঠে। তাছাড়া ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা অজান্তে যদি ওদিকে চলে যায় এ নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। গাইটাইল আন্ত: জেলা বাস টার্মিনালের খতিব মুফতি মাওলানা মো ফখর উদ্দিন জানান, আমি উক্ত মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াই। কিন্তু উক্ত রাস্তা ভাঙনের ফলে বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে বাংলা লিংক হয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা হেটে মসজিদে যেতে হয়। অথচ উক্ত রাস্তা মাত্র সময় লাগে মাত্র ছয় মিনিট । ফলে উপজেলা সদরে চাকুরী জীবীরা পুকুর পাড় ঘুরে যেতে হয় উপজেলা সদরে।
বর্তমানে এ জলাবদ্ধতার কারণে পানিতে বিভিন্ন আর্বজনা পঁচে দুর্গন্ধে সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় অধিবাসীরা এখন উক্ত পানি যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনো পুরোপুরি মৌসুম শুরু হয়নি কিন্তু বৃষ্টি লাগাতার হলে দুর্ভোগের অন্ত থাকবে না অধিবাসীদের।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন ডি ডি এল জি মোছা মমতাজ বেগম। তাঁর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, আমার বদলীর অর্ডার হয়েছে তবে এ এলাকা আমার পরিচিত খুব দ্রুত আমি লোক পাঠাচ্ছি বলে এ প্রতিবেদকে জানান ।