1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ন

ইউএনও’র গাফিলতিতে কিশোরগঞ্জে টিসিবির স্মার্ট কার্ড সেবা থেকে বঞ্চিত ২১,৮১৫টি পরিবার

  • প্রকাশ কাল বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫
  • ১১ বার পড়েছে


নিজস্ব প্রতিনিধি.
শুধু ইউএনওর গাফিলতিতে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২১,৮১৫টি স্মার্ট কার্ডধারী পরিবার ট্রেনিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র পণ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যার খোলা বাজার মূল্য ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫০ টাকা। ঠিক ঈদের কাছাকাছি সময়ে টিসিবির পণ্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ২১,৮১৫টি পরিবার ঈদের আনন্দ ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। এছাড়াও টিসিবির ট্রাক সেল বিতরণেও ব্যাপক অনিয়ম ও আতœসাৎ করা হয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার সকল উপজেলার টিসিবি ডিলারগণ টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের (গাজীপুর) নির্দেশনা অনুযায়ী মার্চ ২০২৫ মাসের পন্য ৮ এপ্রিলে ২০২৫ সমাপ্ত করেন। ১২ এপ্রিল ২০২৫, এপ্রিল ২০২৫ মাসের বরাদ্ধকৃত পণ্য আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে সব উপজেলায় প্রতিবারের মতোই পাঠানো হয়, প্রতি মাসের ন্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা পণ্য বরাদ্ধ দেন ও পণ্য উত্তোলন করতে অনুমতি প্রদান করেন। অন্য দিকে নিয়োগকৃত ডিলারগণ পণ্যের সরকারী মূল্য ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে ডিও কপি নিয়ে খাদ্য গোডাউন থেকে পন্য উত্তোলন করে ও প্যাকেট করে নির্দিষ্ট স্থানে বিতরণ করে থাকেন। এদিকে (এপ্রিল ২০২৫) মাসের পন্য ২০মে ২০২৫ তারিখের এর মধ্যে শেষ করতে হবে বলে আঞ্চলিক কার্যালয়ের (গাজীপুর) এর নির্দেশ দেন। সদর উপজেলা ব্যতিত জেলার সকল উপজেলা অর্থাৎ অন্য ১২টি উপজেলায় ১৫ এপ্রিল ২০২৫ অনুমতি প্রদান করে এবং সকল উপজেলার সকল ডিলাররা তারা নির্দিষ্ট সময় ২০ মে ২০২৫ এর পূর্বেই বিতরণ সমাপ্তি করে ফেলেন।
কিন্তু কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ মিয়া এর বরাদ্ধ দিতে বিলম্বিত করিতেছেন। তখন এ অবস্থায় কয়েকজন ডিলার বরাদ্ধ নিতে ইউএনওর সাথে ১৬ এবং ১৮ মে দুই দিনই দেখা করে ডিলারগণ নিবার্হী কর্মকর্তাকে বলেন যে, ২০ মে পন্য বিতরনের শেষ দিন এবং ওই তারিখের পরে নির্ধারিত এ্যাপস বন্ধ হয়ে যাবে। তখন তিনি ডিলাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি, ২০ মে পন্য বরাদ্ধ পাবেন এবং ২৪ মে বিতরণ শেষ করে দিবেন। আমি আঞ্চলিক কার্যালয়ের সাথে কথা বলে ২৪ মে পর্যন্ত এ্যাপসটি চালু রাখার ব্যাবস্থা করছি। জানা যায়, ২০ মে সদর উপজেলার ২৭ জন ডিলার খাদ্য গোডাউন থেকে পণ্য উত্তোলন করে ২১ মে সদরের বিভিন্ন স্থানে পণ্য বিতরণ করতে চাইলে বিতরণ এ্যাপসটি অকার্যকর অবস্থায় দেখা যায়। যার ফলে পণ্যগুলো বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। পরে ইউএওর নির্দেশেই পণ্যসেল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন ডিলারগণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ডিলার জানান, ইউএনও স্যার বলেন, পরবর্তী মাসে এপ্রিল ও মে এ দুই মাসের পণ্য এক সাথে বিতরণ করে দিবেন। কিন্তু অনেক ডিলার আঞ্চলিক কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারে এপ্রিল মাসের বরাদ্দের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পন্য উত্তোলন ও বিতরণ না করার কারণে এপ্রিল মাসের বরাদ্দ বাতিল হয়ে গেছে। এতে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৩ শত টাকা সরকারী পণ্য কমিশন হতে বঞ্চিত হয়েছেন ডিলারগণ।
এদিকে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সঠিক তদারকি না করার কারনে টিসিবির ট্রাকসেল বিতরণেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। দেখা যায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৬-২৭ মার্চ পর্যন্ত ট্রাক সেলে বাবন বাবু নামে একজন ব্যক্তি ৮জন ডিলারের ২৪টি ট্রাক সেল বিতরণ করে। যাতে প্রতি ট্রাকে ৪শটি প্যাকেজ বিতরণ না করে প্রায় ৩শটি প্যাকেজ বিতরণ করে বাকীগুলো আতœসাৎ করে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এবারও ঈদুল আজহা উপলক্ষে আসা ট্রাকসেল ২২-৩১ মে পর্যন্ত বিতরণে বাবন ১০ জন ডিলার যথাক্রমে মেসাস আবাবিল এন্টাপ্রাইজ, মেসাস ইসলাম এন্টার প্রাইজ, মেসাস কৃষ্ঞ এন্টার প্রাইজ, মেসাস সোহাইমী ট্রেডাস, মেসাস দিয়া এন্টার প্রাইজ, মেসাস দিলরুবা স্টোর, মনির এন্টার প্রাইজসহ ১০ জন ডিরারের ট্রাকসেল পণ্য বিতরণ করে একই কায়দায় প্রচুর পরিমান পণ্য আতœসাৎ করেছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। পণ্য বিতরণের সময় কোন ট্যাগ অফিসারকে মাঠে তেমন দেখা মিলেনি।

টিসিবির ট্রাকসেল পণ্য আতœসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে আবাবিল এন্টাপ্রাইজ এর প্রতিনিধি বাবন বাবু বলেন, আমি গত রমজান ঈদে ৭টি ও ইদুল আজহা ঈদের ১০টি ডিলারের পন্য বিতরণ করেছি।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ মিয়া বলেন, এপ্রিল ও মে মাসের পণ্য একসাথে বিতরণ করার কথা। বিষয়টি খোজঁ নিয়ে জানাতে হবে। এদিকে বাবনের একার মাধ্যমে যদি অন্যান্য ডিলারের ট্রাকসেল পণ্য বিতরণ করে থাকে তাহলে ডিলার ও বাবনের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST