লিবিয়া যথাযথ মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী’ উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে দূতাবাসের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মিনিস্টার (শ্রম) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন, সাহিত্যকর্ম, সংস্কৃতি এবং সমাজে তাঁদের অবদান ও প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল বাংলা সাহিত্যের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁদের অবদান কেবল সাহিত্য ও শিল্পকে সমৃদ্ধ করেনি, বরং আমাদের জাতীয় চেতনা ও চিন্তাধারাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ যেখানে শিক্ষা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে সমাজের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের কথা বলেছেন, সেখানে নজরুল তাঁর কলমকে শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীদেরকে এই দুই কবির সাহিত্য ও শিল্পকর্ম আরও গভীরভাবে চর্চা করতে অনুপ্রাণিত করেন।
অনুষ্ঠানমালার পরবর্তী পর্যায়ে ত্রিপলীস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্বে একক ও দলীয় সংগীত, নৃত্য এবং আবৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের শিল্পকর্ম তুলে ধরেন। রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ত্রিপলীতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরা তাঁদের পরিবার-পরিজনসহ অংশগ্রহণ করেন।