নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা নিকলীতে অবৈধভাবে চালানো একটি ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে দেয়ার পরদিন থেকে আবারো সে ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইটপোড়ানো অব্যাহত রেখেছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন কাজ করলেও অজ্ঞাত কারণে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ইটভাটার মালিক দাবি করেছেন আগামী জুন পর্যন্ত ইটভাটার মেয়াদ রয়েছে। তিনি আইন মেনেই ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
সরেজমিনের জানা গেছে, নিকলী উপজেলার কুর্শা গ্রামে মেসার্স আলতাব ব্রিকস নামে একটি ইটভাটায় কয়েক বছর ধরে ইটপোড়ানো হচ্ছে। রোদার পোড্ডা নদীর পাশে গ্রামের ভিতরে এই ইটভাটায় ইটপোড়ানোর ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। তাছাড়া ইটভাটার পাশেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাদ্রাসাসহ বহু বসতবাড়ি রয়েছে। ইটভাটার নির্গত ধূয়া আশপাশের কৃষি জমি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থায় বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় গত ২৭ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইটভাটাটির চিমনি গুঁড়িয়ে ইটপোড়ানো কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত ফিরে যাওয়ার পরদিন থেকে আবারো নতুন করে চিমনি গড়ে তুলে ইট পোড়ানো শুরু করে এই প্রতিষ্ঠানটি। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এই ইটভাটায় নদীও দখল করে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে মেসার্স আলতাফ ব্রিকসের মালিক হাজী রূপালী মিয়া জানান, ইটভাটার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, ইটভাটা ভাঙ্গার আগে তাদেরকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তরের দিকে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আইন মেনে ইটভাটা ভাঙ্গা হয়নি। সে কারণে নতুন করে চিমনি তৈরি করে ইট পোড়ানো হচ্ছে। আগামী জুন পর্যন্ত ইটভাটার মেয়াদ আছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, অবৈধ থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইটভাটাটি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এরপর কিভাবে চলছে তা জেনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।