ওয়াসিম কামাল
বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়াতে যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে গণহত্যা দিবস ২০২৫ পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশারের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কমিউনিটির সিনিয়র প্রবাসীরা বক্তব্য প্রদান করেন। তাঁরা তাঁদের বক্তৃতায় দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর সমাপনী বক্তব্যে ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে নিহত শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, এই দিনে হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর মাধ্যমে পরিকল্পিত গণহত্যা শুরু করেছিল, যা আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন ধ্বংসের ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু বাঙালি জাতি প্রতিরোধ গড়ে তুলে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অসাধারণ আত্মত্যাগ অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় রচনা করেছে।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘটিত গণহত্যার যথাযথ স্বীকৃতি না হওয়ায় আজকের বিশ্বে সংঘাত, নিপীড়ন ও অত্যাচার এখনও বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত রয়েছে। ফলে এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য যৌক্তিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে হবে। এটি কেবল শহিদদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে না, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ রোধেও সহায়ক হবে। তিনি এই দিবসের মাধ্যমে সবাইকে শক্তিশালি, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
আলোচনা শেষে ২৫ মার্চের গণহত্যা, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহিদ এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। একই সঙ্গে দেশের সুখ, শান্তি ও কল্যাণের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।