ওয়াসিম কামাল
ঝুঁকি থাকলেও থামেনি অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার ঘটনা।
গত ২৫ জানুয়ারি রাতে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা থেকে ৫৬ জন অভিবাসীকে নিয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা, এরপর সেই রাতেই ডুবে যায় নৌকা। ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল ব্রেগাতে একে একে ভেসে ওঠে ২৩টি লাশ। পঁচে যাওয়ার উপক্রম হলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় রেড ক্রিসেন্ট লাশগুলো দাফন করে।
২৩টি মরদেহ ছাড়াও মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দুজনকে। আর বাকি ৩১ জন এখনো নিখোঁজ। ঘটনাস্থলে যেতে লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলেও, বাংলাদেশের দূতাবাস এখনো অনুমতি পায়নি বলে জানান ত্রিপোলিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
তিনি জানান, গত দেড় বছরে বিভিন্ন বন্দিশালা থেকে মুক্ত করে ৪২০০ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এখনো হাজারো অবৈধ বাংলাদেশি আটকে আছে লিবিয়ায়।
সতর্ক করার পরও অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার মিছিল থামছে না বলেও জানান লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল হাসনাত।
এদিকে, অবৈধ অভিবাসীদের কারণে বিশ্ব দরবারেও বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।