1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ভৈরব কালিকাপ্রসাদে নবারুণ সংগঠনের কমিটি গঠন হোসেনপুরে জমিদার বাড়িতে ডাকাত আতঙ্ক তাড়াইলে শত কোটি টাকার মালিকের স্ত্রী’র নামে গর্ভবতী লিবিয়াতে আরো ২৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার সাংবাদিক মাইন উদ্দিন উজ্জ্বলকে প্রান নাশের হুমকি; : বিএমইউজে নিন্দা প্রতিবাদ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন নওগাঁ জেলা শাখার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে খেলাফত মজলিসের কমিটি পুনর্গঠন বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বারোমাস সব কৃষকের মুখে হাসি থাকবে- কৃষিবিদ তুহিন র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা সহ আটক ০২ মহিলা কটিয়াদীতে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ৫০ ঊর্ধ্ব প্রবীণদের প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত
শিরোনাম
ভৈরব কালিকাপ্রসাদে নবারুণ সংগঠনের কমিটি গঠন হোসেনপুরে জমিদার বাড়িতে ডাকাত আতঙ্ক তাড়াইলে শত কোটি টাকার মালিকের স্ত্রী’র নামে গর্ভবতী লিবিয়াতে আরো ২৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার সাংবাদিক মাইন উদ্দিন উজ্জ্বলকে প্রান নাশের হুমকি; : বিএমইউজে নিন্দা প্রতিবাদ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন নওগাঁ জেলা শাখার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে খেলাফত মজলিসের কমিটি পুনর্গঠন বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বারোমাস সব কৃষকের মুখে হাসি থাকবে- কৃষিবিদ তুহিন র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা সহ আটক ০২ মহিলা কটিয়াদীতে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ৫০ ঊর্ধ্ব প্রবীণদের প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত

অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ! তৃণমূলে ইমেজ সংকটে পড়ছে বিএনপি!!

  • প্রকাশ কাল শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১২৪ বার পড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপি সভাপতি সাঈদ আহমেদের ক্ষমতার অবৈধ দাপট আর নানা অপকর্মে ইমেজ সংকটে পড়েছে স্থানীয় বিএনপি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান তথা ৫ আগস্টের পর দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে এলাকায় ক্ষমতার দাপটে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলেছেন সাইদ আহমেদ । তার অপর্কম আর নানামূখী দখল ঠেকাতে জেলা বিএনপি থেকে ইতিপূর্বে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও থেমে নেই তার অনিয়ম। এতে স্থানীয় বিএনপির ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন তৃনমুল পর্যায়ের বিএনপির স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা।

অষ্টগ্রাম স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেছেন, দলীয় নেতাকর্মী এমনকি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আতঙ্কে রেখেছেন এই সভাপতি সাইদ আহমেদ।

এছাড়া ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও তার পিতার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রশাসনকে ব্যবহার করে হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন ভাবে দখলদারি, জলমহলের ইজারাদারের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, অবৈধ বালু উত্তোলন, সেচ প্রকল্পেরের নামে চাদাবাজি, কৃষি জমির মাটি বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মের মাধ্যমে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলে ব্যাপক আলোচনা আর সমালোচনা বইছে সাইদ আহমেদ বিরুদ্ধে।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির কারণ দর্শানো (শোকজ) নোটিশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে জানা যায়, সৈয়দ সাইদ আহমেদ অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্ব থেকে গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। গত ২৫ আগস্ট অষ্টগ্রাম উপজেলার মেঘনা নদীতে তার নেতৃত্বে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় সেনাবাহিনী তা জব্দ করে। বিভিন্ন মামলায় বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী, প্রবাসী ও নিরীহ জনসাধারণকে আসামি করে থানায় মামলাও করেন তিনি। এছাড়া অষ্টগ্রাম উপজেলা অটোমিশুক সমিতির অনুমোদন দিয়েছেন দলীয় নিয়ম বহির্ভূতভাবে। গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস অষ্টগ্রামে কোনো কর্মসূচি পালন না করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে জানতে সৈয়দ সাইদ আহমেদের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, জেলা বিনএপি থেকে আমাকে নোটিশ দিয়েছে আমি তার জবাব দিয়েছি। এখানকার নেতাকর্মীরা সবাই টাউট ও বাটপার। পরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা, জলমহলে চাঁদাবাজি, দখলদারি, অবৈধ বালু উত্তোলন, টাকা বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মামলা থেকে দায়মুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তিনি নোটিশের কি জবাব দিয়েছেন এবং জেলা বিএনপি তার জবাবে কি সন্তষ্টিমূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল সেই কপিগুলো তার কাছে আছে কিনা জানতে চাইলে সাইদ আহমেদ জানান, আমার কাছে কোনো কিছু নাই।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মীর কামরুল হাসানের স্বাক্ষরে শোকজ ইসু্কৃত নোটিশে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর ব্যাখ্যা দেন তিনি। এতে জেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা অসন্তুষ্ট হন। কিন্তু বিএনপির সিনিয়র নেতার কারণে ওই ব্যাখ্যা জেলা বিএনপি নেতৃত্বের কাছে সন্তষ্টিমূলক হয়েছে মর্মে দায়মুক্তি দেন বলে জেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা তাকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কিছু অনিয়ম হয়েছে। চেষ্টা করছি যাতে ঝামেলা না হয়। আশা করছি, তেমন ঝামেলা হবে না। নোটিশের জবাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। পরে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মীর কামরুল হাসান শামুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও এ বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে অষ্টগ্রাম থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সবই সত্য। তার এসব বিতর্কিত কর্মকান্ডে অষ্টগ্রাম উপজেলায় বিএনপি মারাত্মক ইমেজ সংকটে পড়েছে। আমাদের দলের চরম ক্ষতি করছে সাইদ আহমেদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছে না। সর্বশেষ আমরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছিলাম। এখনো কোন প্রতিকার মিলেনি।

এই বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সংগ্রামী সভাপতি শরিফুল আলম ভাইকে অনুরোধ করবো দলের ইমেজ রক্ষায় সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য।

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের অষ্টগ্রাম উপজেলা শাখার আহবায়ক বার বার নির্বাচিত ইউপি মেম্বার মোঃ ইউনুস আলী বলেন, সভাপতি সাইদের চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও অর্থনৈতিক লুটপাট অনতি বিলম্বে বন্ধ না হলে বিএনপি জনগন শূন্য হয়ে যাবে আমাদের উপজেলায়। তাই বিএনপির সুনাম রক্ষায় তদন্ত সাপেক্ষ জরুরি সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করছি।

ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রেজওয়ান খান বলেন, আমার বাবা এক সময় বিএনপির রাজনীতি করেছেন। কিন্তু আপাতত তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশের জন্য পরপর ৩টা মিথ্যা মামলায় বাবার নাম ঢুকিয়ে দিয়েছেন সাইদ আহমেদ। যেখানে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করলাম, সেখানে প্রথম মামলায় আমার নামও ছিল। পরে থানায় বিভিন্নভাবে কথা বলে আমার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মামলাগুলোতে অসংখ্য সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষকেও আসামি করা হয়েছে। বলতে পারেন অষ্টগ্রামে মামলা বাণিজ্য চলছে। সব বিষয়ে মানুষ ভয়ে কথাও বলে না। কারণ কথা বললেই যে কোনো রাজনৈতিক মামলায় নাম ঢুকিয়ে দেবে।

একাধিক স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, অষ্টগ্রাম বিএনপি নেতা হান্নান ভূঁইয়া, ভূলন মেম্বার, বাচ্চু মেম্বার, ইব্রাহিম মেম্বার, শাহাবুদ্দিনসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলায় নাম দিয়েছেন সভাপতি সাইদ আহমেদ। শুধু মামলা দিয়ে ক্ষান্ত নয়, অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিনকে দিয়ে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে স্থানীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।

মামলার কারণে এলাকায় ঢুকতে পারছেন না অনেকে। সাইদের অনিয়মের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলছেন, তাদের বিরুদ্ধেই মামলা ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। এক সভায় একটি হিন্দু পরিবারকে পিটিয়ে দেশ ছাড়া করার প্রকাশ্যে হুমকির ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে চ্যানেল আই টেলিভিশনসহ একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হয়।

বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যে জানা যায়, সাইদ আহমেদ এলাকায় একজন উগ্রপ্রকৃতির মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পলায়নের পরে ৩টি মামলা দায়ের করেন। এতে কয়েকশ’ আসামি করা হলেও, অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতা যারা বিগত ১৬ বছর বিএনপিকে নির্যাতন করেছেন সেই প্রকৃত অপরাধীদের থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামি করা হয়নি।

নিজের চাঁদাবাজি-অপকর্ম ঢাকতে ও কণ্ঠরোধ করতে, সরকারি চাকুরিজীবী, দলীয় নেতাকর্মী, প্রবাসী, সাংবাদিক, জেলে থাকা ব্যক্তিদেরও আসামি করেছেন তিনি।

অষ্টগ্রামের মেঘনা নদীর কয়েকটি স্থানে ৩টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা লুটে নেন। এতে নদী তীরবর্তী গ্রামে সৃষ্টি হয় ভাঙন। দুই দফায় তার ১১ জন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সড়কপথে চাঁদাবাজি করতে বিএনপির দলীয় প্যাডে অটোরিকশা চালক সমিতি গঠন করে, টাকা নিয়ে সরকারি সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার/সভাপতি নিয়োগ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন অনুমোদন করেন।

কর্মহীন, সংসার চালাতে অক্ষম এই দুর্নীতিবাজ নেতা বিএনপির নাম- পরিচয়ের অপব্যবহার করে ৫ আগস্টের পর হঠাৎ অর্ধকোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তার নিকটাত্মীয়ের নামে-বেনামে জমানো হয়েছে এসব অবৈধ টাকা।

সূত্র জানায়, গত ৫ আগষ্টে শেখ হাসিনার পলায়নের পর হতে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপি সভাপতি সাইদ আহমেদ (সাবেক ছাত্রশিবির নেতা) এলাকায় চাঁদাবাজি, জলমহাল, সেচপ্রকল্প ও জমি দখল এবং নিজ দলীয় নেতাকর্মী, প্রবাসী, সরকারি চাকুরিজীবী, সাংবাদিকের নামে মামলা দায়ের করে, মামলা বাণিজ্যসহ উগ্র বক্তব্য দিয়ে সাধারণ মানুষসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাঝে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন।

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, বিভিন্ন প্রকল্পে নিজের আজ্ঞাবাহকদের মনোনীত করতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। জোরপূর্বক পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নে কৃষি জমি দখল, মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করা, গ্রামের মেলায় দোকানে চাঁদাবাজিসহ শত অভিযোগ রয়েছে এই নৈরাজ্যবাজ সভাপতির বিরুদ্ধে।

পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. শাহাবুদ্দিনকে মামলার আসামি করে তার লিজ নেওয়া মাছের ঘের দখল করে নেন সভাপতি। এ বিষয়ে তিনি জানান, আমাকে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়। আমাকে ঘরছাড়া করে। এছাড়া এলাকায় সবধরনের কাজে সাইদ আহমেদকে চাঁদা দিয়ে কাজ করতে হয়। তার অত্যাচারে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

বিলমাশকা জলমহলের ইজারাদার ব্যবসায়ী মো. রিমন মিয়াকে মামলায় দিয়ে তার জলমহল দখল নেয়। পরে ৪ লক্ষ টাকার চাঁদার বিনিময়ে তাকে জলমহল ফিরিয়ে দেয়। এ বিষয়ে ইজারাদার মো. রিমন মিয়া, পূর্ব অষ্টগ্রাম সাইদ আহমেদের এলাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা বেশি হয়রানি শিকার হচ্ছি বলে অভিযোগ করেন।

অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাইদ আহমেদ বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের অষ্টগ্রামের মিছিলে হামলাকারী এ এফ মাশুক নাজিম আঃলী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, সদর ইউনিয়ন আঃলীগ সভাপতি এস এম গিয়াস উদ্দিন, সদর ইউনিয়ন আঃলীগ সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জজ মিয়া, কৃষক লীগ নেতা আবু ছালেক দের কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক ফায়দা হাসিলের মাধ্যমে তাদের মামলার আসামি করা হয়নি।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন, সাইদের অকর্মের কারণে এলাকায় বিএনপিকে খারাপ চোখে দেখছে জনসাধারণ। ফলে আগামী নির্বাচনে ভোটার ও জনগণের নিকট ক্ষুণ্ন হচ্ছে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের ভাবমূর্তি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের সুচিন্তিত মানবিক বাংলাদেশ গড়তে এই দুর্নীতিবাজ নেতাদের লাগাম টেনে না ধরলে বাধাগ্রস্ত হবে আগামীর বাংলাদেশ ও বিএনপি।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, আমাদের দল সব সময় দখলবাজি, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রতিনিয়ত এসব বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমরা এসব বিষয়ে এলার্ট। অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপি সভাপতি সাইদ আহমেদের বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যে জেলা শহরে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে নির্দোষ দাবিও করেছেন সাইদ আহমেদ। অভিযোগ উঠেছে এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজের অপকর্মকে ঢাকার অপচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। যে সম্মেলনে তাঁর পাশে ছিলেন অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

উলেস্নখ্য যে, বিগত চারদলীয় শাসনামলে শতাধিক পঙ্গু, প্রতিবন্ধী ও বিধবাদের ভাতা আত্মসাৎ এর মামলায় জেলও খাটেন সাইদ। ২০০৯ সালের দিকে পূর্ব অষ্টগ্রাম বিএনপি নেতা মাওলানা শাহ খুরশিদ আলমের চাঁদাবাজি মামলা কয়েক মাস জেল খাটেন এই সাইদ আহমেদ বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST