তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সারাদেশের মতো কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলাও মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকল কার্যক্রম পালন হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ভূল দাওয়াত কার্ড দিয়েছেন।
নামের তালিকা অগনিত ভুলে ভরপুর থাকায় ১৪ ডিসেম্বর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রসাশনের অবহেলার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি চলছে।
তারই মাঝে ১৬ ডিসেম্বর তাড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ অনুষ্ঠিত বিজয় উল্লাসের অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে বক্তব্য রেখে বিতর্ক জড়ালেন প্রসাশন।
মুক্তিদ্ধাদের নামের তালিকা ভুল নিয়ে তাড়াইল উপজেলা কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেওয়ার সময় ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আলী আকবর রাজ্জাকি বলেন, এটা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে জেনে শুনে তামাশা করা হয়েছে যা অপমান করার ন্যায়। সেই সাথে এসব কমিটিতে থাকা সরকারি অফিসারদের নিকট প্রশ্ন
মুক্তিযোদ্ধাদের নামের সাথে এমন বৈষম্য কেন?
দাওয়াত কার্ডে ভুল ও বিজয় দিবসে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলার বিষয়ে জানতে চাইলে
তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারি অফিসারগণ সকল বক্তব্যে স্বাভাবিক ও রাষ্ট্রেীয় নিয়ম মেনে চলেছে আমরা কোন ভুল করিনি। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু শ্লোগান আমরা দেয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা বয়স্ক মানুষ তিনি তার বক্তব্যে এ কথা বলে ফেলেছেন এটা তো আমাদের ভুল নয়।
তবে এ শ্লোগান আর নামের ভুলের দায়ভার কেউ না নেয়ায় তাড়াইলের সচেতন মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই প্রথম দিবস। তবে প্রসাশনের তালিকা এখনও পালিয়ে যাওয়া সরকারের লোকজন বসে রয়েছে। তাদের বাদ দিতে জোর দাবি করেন তাড়াইলের নাগরিক সমাজ।
তাড়াইল উপজেলা প্রশাসন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের আত্মত্যাগের কথা, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছিল।
অনুষ্ঠান মঞ্চে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হাই স্বাগত বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ দীর্ঘজীবি হোক,এই বক্তব্যে কারনে কলোন্ঠিত হয়েছে বলে দূঃখ প্রকাশ করেছেন উপজেলা রাজনৈতিক দলগুলো। সরকারি ছুটি, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন কম, এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত হওয়ার সচিত্র দেখা যায়নি। উপজেলা প্রধান প্রধান সড়কে জাতীয় পতাকার দৃশ্য চোখে পড়েনি।