ওয়াসিম উদ্দিন সোহাগ (স্টাফ রিপোর্টার)
রাতে গায়ে দিতে হয় কাঁথা বা পাতলা কম্বল আর দিনের বেলা ব্যবহার করতে হয় বৈদ্যুতিক পাকা। ভোরে কাছে বা দুর আকাশে কোয়াশাছন্ন চারপাশ,ঘাসের উপর হীরকের টুকরোর মতো দেখতে শিশির কণার উপস্থিতিই গ্রামাঞ্চলে বলে দেয় শীতের আগমনী বার্তা। তাছাড়া গ্রাম্য বাজারের অলিগলিতে বসেছে চিতই ও ভাপা পিঠার দোকান। চ্যাপা শুটকি দিয়ে কাচামরিচ,শুকনা মরিচের বর্তাসহ নানান রকমের ভর্তার আয়োজন। যা সাধারণত শীতকালেই দেখা যায়। রাতে শীতের উপস্থিতি থাকলেও বেলা গড়ানোর সাথে সাথেই রোদের তেজ যেন শীতকে ভুলিয়ে দেয়। গ্রামাঞ্চলে পুরোদমে শীতের ছোঁয়া না লাগলেও যাদের সাধ্য আছে শীত মোকাবেলায় তারা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে। ক্রমে ক্রমে কিনে নিচ্ছে উঞ্চ বস্ত্র। তাই অনেক কাপড়ের দোকানে শোভা পাচ্ছে শীতের পোশাক। দরিদ্রদের কেউ কেউ তার সন্তানদের জন্য ক্রয় করছে গরম পোশাক। এমনি একজন দরিদ্র শিখা রানী বর্মন গ্রাম দামিহা। পরিচন্ন কর্মীর কাজ করে একটি ডাইগনোস্টিক সেন্টারে। বেতনের অগ্রিম টাকা নিয়ে তার মেয়ের জন্য শীতবস্ত্র কিনে নিচ্ছে। জিজ্ঞেস করলে শিখা রানী জানায় ডাইগনোস্টিক সেন্টার থেকে সন্ধ্যা বেলা বাড়ি ফিরতে হয় এ সময় সাথে থাকে তার ৪ বছরের শিশু বাচ্চা। সন্ধ্যার ঠান্ডা বাতাসে সর্দি লেগে যায় তাই শীতের কাপড় কিনে নিচ্ছে। শহীদ গার্মেন্টস এর মালিক শফিকুল ইসলাম শহীদ বলেন, এখনো খুব একটা শীতের কাপড় বেচাকেনা শুরু হয়নি। তবে কমবেশ শিশু বাচ্চাদের শীতের কাপড় বেচাকেনা হচ্ছে।
হাওরাঞ্চলের শুরু কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা। এখানকার খোলা হাওরের মুক্ত বাতাসের ফলে অন্যান্য এলাকার তুলনায় খানিকটা আগেই শীত পড়তে শুরু করে। তাড়াইল বাজারে ঘুরে দেখা গেলো শীতের আগমনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে লেপ-তোষক তৈরির দোকানিরা। এসব দোকানে লেপ-তোষক তৈরি করতে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা মতো লেপ-তোষক সরবরাহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। লেপ-তোষকের কারিগর মুহাম্মাদ আলী ও রোকন মিয়া বলেন, বছরের বেশিরভাগ সময়ই আমাদের অলস সময় কাটাতে হয়। অনেকটা বসে থাকতে হয়। কিন্তু শীতের ২-৩ মাস আমাদের মৌসুম। যার কারণে এই সময়ে আমাদের কাজের ব্যস্ততা বেশিই থাকে।
আলীমুদ্দিন জানান, এবার কিছুটা আগেই শীত পড়তে শুরু করেছে। তাই পুরনো ছেঁড়া লেপ-তোষক নিয়ে এসেছি নতুন করে তৈরি করতে। প্রতিবছর ঋতুর পালাবদলে শীত আসে। কনকনে শীত ও শৈত প্রবাহে সকল স্তরের মানবিক মানুষরা হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াবে এমনটিই কামনা সকলের।