সঞ্জিত চন্দ্র শীল
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ডাংগী পানান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাজহারুল ইসলাম বিভিন্ন অনিয়মের ও দূর্নীতির প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন।
বুধবার(২৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গাঙ্গাটিয়া বাজারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে চাকুরী থেকে অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে দিনব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয। সেখানে ওই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সাবেক গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম হিমেল,এলাকাবাসী পক্ষে মোঃ ফখরুল ইসলাম শরীফ, ফজলুর রহমান,পল্টু মিয়া,নুরে আলম,হারুন মিয়া প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দূর্নীতিবাদ ওই প্রধান শিক্ষকের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বিক্ষোব্ধ জনতা ওই শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে গোবিন্দপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম হিমেল সংবাদ সম্মেলনে জরুরি প্রতিকার দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম বিধি বহির্ভূতভাবে সরকারি চাকরি করেও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি,স্থানীয় ইউনিয়নের সরঞ্জাম আত্মসাৎ এবং ইজিপিপি কর্মসূচি লেবারের টাকা নিজের বিভিন্ন ফোনে সিম দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।যার প্রমাণাদিসহ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডলের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে উপজেলার ডাংরী গ্রামের মৃত হাসেন আলীর পুত্র মফিজ উদ্দিন জানান, ওই দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের কোনো নীতি নৈতিকতা নেই।সে এক জন খারাপ মানুষ। তাই তিনি এলাকাবাসিকে সাথে নিয়ে হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডলেনর নিকট দূর্নীতিবাজ ওই প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে প্রতিকার দাবি করেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এটি তার বিরুদ্ধে একটি বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্র। এছাড়া তিনি কোনো রাজনীতির সরাসরি জড়িত নয় বলেও দাবি করেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল জানান,অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর দূষিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।