প্রেস রিলিজ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যা মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ নেতা দূর্জয় (৩০) কে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন নগুয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার।

গত ০৪/০৮/২০২৪ খ্রি. তারিখ বেলা অনুমান ১৪.০০-১৬.০০ ঘটিকায় কিশোরগঞ্জ সদর থানাধীন খরমপট্টি এলাকায় জেলা ছাত্রলীগ নেতা দূর্জয়(৩০) সহ অন্যান্য আসামীগন বে-আইনী জনতাবদ্ধে দা, রামদা, কিরিচ, বল্লম, লোহার রড, হকিস্টিক, পেট্রোল বোমা, ককটেল, পাইপগান, পিস্তল সহ মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারিী ছাত্র জনতার মিছিলের উপর হামলা করে। ঐ সময় বাদী মোঃ মশিউর রহমান জীবন রক্ষার্থে দৌড়ায়া পাশর্^বর্তী সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাড়ির গেইট খোলা পাইয়া ভেতরে আশ্রয় নেয়। উক্ত সময় আসামীগন পিছু ধাওয়া করিয়া তাদের হাতে থাকা পেট্ট্রোল দিয়ে উক্ত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাদী সহ সবাই আগুনের ভয়াবহতা দেখিয়া পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় উক্ত বাড়িতে থাকা দুইজন ব্যক্তি ১। জুলফিকার হোসাইন(৩৮), পিতা- মতি মিয়া, সাং- ভাবুন্দিয়া, ২। অঞ্জনা(২৮), পিতা- কামাল উদ্দিন, সাং- বীর দাস পাড়া, থানা ও জেলা কিশোরগঞ্জ দ্বয় আসামীদের দেওয়া আগুনে পুড়িয়া খুন হয়। উক্ত বিষয়ে মোঃ মতিউর রহমান বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার একটি মামলা দায়ের করেন। যা কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার মামলা নং-২২/৩৬৩, তারিখ-৩০/০৮/২০২৪খ্রি: ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/৪৩৬/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু হয়েছে। বর্ণিত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মামলা রুজু পরবর্তীতে বর্ণিত আসামিসহ এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামিগণ গ্রেফতার এড়াতে অজ্ঞাতস্থানে পলাতক থাকে। আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে মামলা রুজু পরবর্তী সময় হইতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় পলাতক থাকা উক্ত মামলার এজাহার নামীয় আসামী দূর্জয় এর অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২,কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প অভিযান পরিচালনা করিয়া অদ্য ১৬/১০/২০২৪ খ্রি. তারিখ বিকেল ১৫.০০ ঘটিকার সময় উক্ত মামলার এজাহার নামায় আসামী দুর্জয়(৩০), পিতা-দুলাল চন্দ্র রায়, সাং-নগুয়া, থানা ও জেলা-কিশোরগঞ্জকে নগুয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। উক্ত মামলার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে ধৃত আসামি উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

উক্ত বিষয়ে ধৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।