ডেস্ক রিপোর্ট :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ককটেল বিস্ফোরণ ও দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্রদের উপর হামলাকারী কিশোরগঞ্জ জেলার ১নং রশিদাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন রশিদাবাদ এলাকা হতে গ্রেফতার।।
গত ০৪/০৮/২০২৪ খ্রি. তারিখ বেলা অনুমান ১২.৩০ ঘটিকায় এজাহারে উল্লেখিত ২৩ নং আসামী জহিরুল ইসলাম জুয়েল সহ অন্যান্য আসামীগন বে-আইনী জনতাবদ্ধে দা, রামদা, কিরিচ, বল্লম, লোহার রড, হকিস্টিক, পেট্রোল বোমা, ককটেল, পাইপগান, পিস্তল সহ মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিছিলের উপর হামলা করে। এতে মোঃ সুজন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয় এবং আরো অনেকেই গুরুতর আহত হয়। উক্ত বিষয়ে মোঃ সুজন মিয়া বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার একটি মামলা দায়ের করেন যাহা কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার মামলা নং-১৩/৩৮২, তারিখ-০৯/০৯/২০২৪ খ্রি. ধারা- ধারাঃ ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/১১৪/৩৪ দঃবিঃ সহ 3/4 The Exploslve Substances Act 1908 রুজু হয়েছে। বর্ণিত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মামলা রুজু পরবর্তীতে বর্ণিত আসামিসহ এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামিগণ গ্রেফতার এড়াতে অজ্ঞাতস্থানে পলাতক থাকে। আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে মামলা রুজু পরবর্তী সময় হইতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় পলাতক থাকা উক্ত মামলার আসামিদের মধ্যে এজাহার নামীয় ২৩ নং আসামীর অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প এর অভিযানে র্যাবের একটি আভিযানিক দল অদ্য ২৭/০৯/২০২৪ খ্রি. তারিখ রাত ০৩.৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ সদর থানাধীন রশিদাবাদ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী জহিরুল ইসলাম জুয়েল (৪২), পিতা-মৃত-হারুন অর রশিদ, সাং-শ্রীমন্তপুর, থানাÑসদর, জেলা-কিশোরগঞ্জ‘কে গ্রেফতার করে। উক্ত মামলার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে ধৃত আসামি উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
উক্ত বিষয়ে ধৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।