সোহেল রানা:
কিশোরগঞ্জে নিজ মেয়েকে বিক্রি করা সেই আলমগীর এবার ছেলের মৃত্যুকে পুজি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে।
লিখিত অভিযোগ ও সরজমিনে ঘুরে জানাযায়, কিশোরগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার ঝিকরজোরা ( বন্দেরবাড়ী) এলাকার শামসুদ্দিন ওরফে শামসু মিয়ার ছেলে আলমগীরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় লোকজন জানান তিনি একজন মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যাবসায়ী সে বিভিন্ন মাজারে ঘুরে ফিরে নেশা জাতীয় দ্রব্য ক্রয় ও বিক্রি করে চলে। তার এমন নেশারকরানে তার প্রথম স্ত্রী একটি ছেলে রেখেই তাঁকে ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আবার বিয়ে করে সেই স্ত্রীর একটি কণ্যা সন্তান হলে নেশার টাকার জন্য মেয়েটিকে ঝিকরজোরা গ্রামের লাল মিয়ার কাছে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে
বিক্রি করে দেন।
সেই সাথে আলমগীর কিছু দিন আগেও অপহরণ করার দায়ে অভিযুক্ত হলে পুলিশ তাঁকে আটক করে জেলে প্রেরণ করে। দীর্ঘ দিন জেল কেটে বের হয়ে পুনরায় সে মাদক বিক্রিতে জড়িয়ে পড়ে এবং ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় চোরাই কাজে লিপ্ত থাকায় তার ছেলে রিয়ানকে আত্মীয় স্বজনরা দেখা শুনা করতো।
গত ৩১ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক সারে ৮ ঘটিকায় রিয়ান তার বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ের কদম গাছে উঠতে গিয়ে কোন একসময় গাছ থেকে পড়ে রিয়ান পানিতে ডুবে মারা যায়। এলাকাবাসী তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় আত্মীয়রা রিয়ানের বাবা আলমগীরকে খবর দেয় এবং সকল আত্মীয় স্বজন মিলে তার কবর স্থানে দাফন করেন।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেশাখোর আলমগীর এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করছে এবং বলছে তাকে ৮ লাখ টাকা না দিলে হামলা ও মামলার করে সবাইকে জেলে ডুকাবে। এ ঘটনার জেরে গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মতিউর রহমানের দোকানের সামনে আমি আবু তাহের ও কাশেমের নিকট ৬ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় কাশেম এ বিষয় তাঁকে বুঝাতে গেলে উল্টো কাশেম, তাহেরকে প্রাণ- নাশের হুমকি দেয় আলমগীর। সে বলে টাকা না দিলে মুরগির ফার্ম ও ফিসারী তার বাড়ির সামনেই রয়েছে। তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেবে এবং মাছ লুটপাট করে নিয়ে যাবে।
এমনকি সেই দিন রাতেই আমাদের ফার্মের লেবারদের (মাসুদ ও হাবিবুর রহমানকে) বের করে দেয়। এবং তাদের বলে ৮ লাখ টাকা না দিলে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে আসা-যাওয়ার পথে যাকেই পাব তাকে মেরে ফিসারীর মাছের খাবার বানাব।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় কোন সুরাহা না হওয়ায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কয়েকটি পরিবার।
ভুক্তভোগীদের মাঝে মাসুদ,হাবিবুর, কাশেম, আবু তাহের ও আবুল কালাম বলেন, আলমগীর
যেকোনো সময় সে আমাদের জান মালের ক্ষতি করতে পারে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
যে-কোন সময় সে আমাদের উপর হামলা করতে পারে। কারন তার বাড়ির সামনে দিয়ে আমাদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে চলাচল করতে হয়।
আলমগীরের যোগসাজশে বেশ কয়েকজন অপরিচিত লোকজন নিয়ে ইতিমধ্যে সে ঘুরাঘুরি করছে।
উক্ত ঘটনা বাদী হয়ে আবু তাহের ও মাসুদ কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।