তাড়াইল(কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের মৃত দেহকে গার্ড অফ অনার দেওয়া নিয়ে ইউএনও পুলিশ বিতর্কে জড়িয়ে পরার অভিযোগ উঠেছে ।
তাড়াইল উপজেলার মানুষের কাছে এ ঘটনায় একটি ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।
শুক্রবার বেলা ১১.০০ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটে। গার্ড অফ অনার দেওয়ার সময় পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো: রফিকুল ইসলামকে ইউএনও আল-মামুন পিছনে দাড়ানোর কথা বলেন। তিনি পিছনে না যাওয়ায় ইউএনও ঐ পুলিশ উপ-পরিদর্শক কে পেছনে যাওয়ার জন্য ধমক দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) বাহালুল খান এগিয়ে আসেন। তিনিও ঐ এসআই কে পিছনে দাড়ানোর নির্দেশ দেন। পরে ঐ এসআই পিছনে দাড়ান। সবাই গার্ড অফ অনার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলে এসআই রফিকুল ইসলাম আবার ধীরেধীরে এগিয়ে এসে ইউএনও এর পাশে দাড়ান। এক পর্যায়ে ইউএনও বিরক্ত হয়ে গার্ড অব অনার প্রদান না করেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে অবশ্য উনি ফিরে আসেন।
ঐ বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহে ইউএনও এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ফুলের তোড়া দিতে গেলে গার্ড অফ অনারের ঐ টিম লাশের উপর ফুলের তোড়া দিতে বাধা প্রদান করেন। ফলে লাশের পাশে ফুলের তোড়া দেওয়া হয়। স্থানীয়রা এভাবে গার্ড অফ অনার নিয়ে বিতর্কের ফলে সম্মানের চেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি অসম্মান করা হয়েছে বলে আখ্যায়িত করেন। উল্লেখ্য ইউএনও আল-মামুন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ উপ-পরিদর্শক জানান যে, গার্ড অব অনারের ক্ষেত্রে কমান্ডারের সামনে সোজাসোজি কেউ দাড়াতে পারে না। তবে কমান্ডারের সাথে একই সাড়িতে ইউএনও ও অন্যন্য কর্মকর্তারা দাড়াতে পারবে। এক্ষেত্রে ইউএনও ও ওসি এক কদম সামনে থাকতে পারিবেন।
ইউএনও আল-মামুন বলেন, গার্ড অফ অনার প্রদানের সময় ইউএনও এবং ওসি এর মাঝ বরাবর পিছনে কমান্ডার দাঁড়ায়। কিন্তু এখানে কমান্ডার পিছনে দাড়াতে অস্বীকৃতি জানায়। তাছাড়াও গার্ড অফ অনারের এই কমান্ডার এসআই রফিকুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধার মরদেহের উপর ফুলের তোড়া দিতে বাধা দেয়। পরবর্তীতে লাশের পাশে ফুলের তোড়া দেওয়া হয়।