নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) সংসদীয় আসনের বিএনপির ৪ জন এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) রাত আট ঘটিকায় কিশোরগঞ্জস্থ ইটনা সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের আত্নোউৎসর্গকারী বীরসেনানী শিক্ষার্থীদের যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বরণের মধ্য দিয়ে সভা শুরু করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ (অবঃ) হাবিবুর রহমান ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) সংসদীয় আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ প্রার্থী। তাঁরা হলেন ইটনার কৃতিসন্তান সাবেক জেলা প্রশাসক বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম মোল্লা, ইটনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, আমিনুল ইসলাম রতন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী লাকী এবং অষ্টগ্রামের কৃতিসন্তান ইন্জিনিয়ার নেছার আহমেদ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বক্তব্যের শুরুতেই জাতির বীরসেনানী শিক্ষার্থীদের স্বরণ এবং আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং দেশনেত্রীর মুক্তি পায় ব’লে উল্লেখ করে।
এরপর বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এ্যাডঃ ফজলুর রহমানের কমিটি বানিজ্যের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জ -৪ সংসদীয় আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য, বিএনপির আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং হাওয়াই রাজনীতি বন্ধে ৪ মনোনয়ন প্রত্যাশীর ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করে। সেই সাথে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক আদর্শের যে সমস্ত নেতাকর্মী নানা কারণে এবং অবমূল্যায়নে অভিমান করে দূরে আছে তাদেরকেও যথাযথ সম্মান দিয়ে মাঠে আনতে কাজ করছেন বলে জানান।
মতবিনিময় সভায় ৪ মনোনয়ন প্রত্যাশীই তাদের বক্তব্যে এ্যাড, ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে নানামুখী অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় বিএনপিকে সময়োপযোগী ও জনআখাঙ্কা বুঝে ধানের শীষের মনোনয়ন দিতে আহবান জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় উঠে আসে স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একনিষ্ঠ সহচর ডাঃ লাকীর মরহুম পিতা সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ আহমেদ কাঞ্চনের সম্প্রতি মৃত্যু বরনের বিষয়টি । তাঁর মৃত্যুতে সবদলের নেতাকর্মীরা খোজখবর নেন এমনকি জানাযায়ও আসে। উপরন্তু জানাযায় তো আসেইনি মোবাইলে পর্যন্ত পারিবারের কারো কাছে খোঁজখবরটি নেননি ফজলুর রহমান বলেও অভিযোগ উঠে।
উপজেলা পর্যায়ের বিএনপির কর্মীরা তাদের বক্তব্য বলেন, হাওরের তিন উপজেলার জনগন এক পরিবারের যাতাকল থেকে বেরিয়ে ফজলুর রহমানের পরিবারের যাতাকলে যেতে চাইবে না। এ সময় বিভিন্ন নীতিহীন মন্তব্য করতে গিয়ে বক্তারা ফজলুর রহমানের চরম মিথ্যাচার আর স্বেচ্ছাচারিতারও অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক ও বর্তমান পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী।