1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
বহুমুখী বালিকা বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব ২৫ প্রাথমিক বিদ্যালয় গোলকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত সিভিল সার্জনের আয়োজনে স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক কর্মশালা এনভাইরনমেন্টাল সাইন্স ক্লাব ও পাঠাগার, কিশোরগঞ্জের উদ্যোগে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫ উদযাপন লিবিয়া ও তিউনিশিয়া সীমান্তে পণ্যের মতো বিক্রি হয় অভিবাসীরা ময়মনসিংহে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা থেকে ১১ আইনজীবী খালাস রাজারহাটে ভিক্ষুক পূনর্বাসনেবিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্ধোধন করলেন ইউএনও টঙ্গীতে সন্ত্রাসী হামালার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সভা মধুপুরে বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের দাবী আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের আহবান -সংস্কার কমিটি
শিরোনাম
বহুমুখী বালিকা বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব ২৫ প্রাথমিক বিদ্যালয় গোলকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত সিভিল সার্জনের আয়োজনে স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক কর্মশালা এনভাইরনমেন্টাল সাইন্স ক্লাব ও পাঠাগার, কিশোরগঞ্জের উদ্যোগে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫ উদযাপন লিবিয়া ও তিউনিশিয়া সীমান্তে পণ্যের মতো বিক্রি হয় অভিবাসীরা ময়মনসিংহে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা থেকে ১১ আইনজীবী খালাস রাজারহাটে ভিক্ষুক পূনর্বাসনেবিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্ধোধন করলেন ইউএনও টঙ্গীতে সন্ত্রাসী হামালার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সভা মধুপুরে বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত মধুপুরের গোলাবাড়ীতে মিলন মেলা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নারীর অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে দিয়ে হই মানবিক

  • প্রকাশ কাল শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪
  • ১৬৭ বার পড়েছে


অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগম

বিপুল প্রতিদ্বন্ধিতার মধ্যদিয়ে মেক্সিকোতে প্রথম এক জন নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পৃথিবীর ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টিকারী এই নারী প্রেসিডেন্ট হলেন – ক্লদিয়া শিনবাউম। তাঁর প্রতিদন্ধি প্রার্থীও ছিলেন এক জন নারী। এদিকে দক্ষিন কোরিয়ার জাতীয় পরিষদে রেকর্ড সংখ্যক নারী প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে। নারী জাতির জন্য এধরনের বহু সুসংবাদের বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে বর্তমান গ্লোবাল বিশ্বে।
চরম প্রতিযোগিতা ও বিরুপ পরিবেশ মোকাবেলা করে বহু নারী প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। গবেষণায় পাওয়া তথ্যে জানা যায় টেকসই উন্নয়ন ও মানবাধিকার শক্তিশালী করণে নারী নেতৃত্ব অধিকতর গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে।। গবেষণায় এমন-ও দেখা যায় যে নীতি নির্ধারণে নারীর অনন্য অভিজ্ঞতা যুক্ত হলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাও উন্নত হয় ( তথ্য – দৈনিক প্রথম আলো, ১৩ জুন ২০২৪)। গ্লোবাল বিশ্বের সার্বিক উন্নয়নের প্রয়োজনে নারীর ক্ষমতায়ন, আরো নারী প্রসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দরকার। আসুন ২০২৪ সালকে নতুন প্রজন্মের নারীদের নেতৃত্বে নিয়ে আসার একটি বছর হিসেবে গড়ে তুলি।।

নারীরা যখন প্রতিযোগিতা,প্রতিদ্বন্ধিতা মোখাবেলা করে পায়ের নীচে যোগার করছে শক্ত মাটির গাঁথন।ঠিক তখন নারীর জন্য দুঃসংবাদ হলো –নারীকে গৃহে আবদ্ধ করার বিভিন্ন পায়তারা তেড়ে আসছে। কেউ কেউ যুক্তি দেখিয়ে বলছে — নারীকে চতুর্থ শ্রেণীর বেশী পড়া শোনা করানোর দরকার নাই।স্বামীর ঘরের ফার্নিচার মুছতে পারলে ও সংসারের খরচের টাকা পয়সার হিসাব রাখতে পারলেই যথেষ্ট। হাড়িপাতিলের আওয়াজে বিলিয়ে দিবে দৈনিকের রুটিন পুষি বিড়ালের মত পায়ে পায়ে ঘুরে । কিছু কিছু অলস গন্ডমূর্খ তথা কথিত শিক্ষিত নারীরা বলছে — বাচ্চা সামলাবো না চাকুরী করবো। চাকুরী করে কি হবে। তারা হয়তো বা ভালো বিয়ের জন্য পড়াশোনা করেছে। সরকার ও বাবার অর্থ ধ্বংস করে অর্জন করছে উচ্চ শিক্ষার সনদ। তারা খাওয়া,সাজগোজ কারা, টিভি সিরিয়াল দেখা ও ঘুমানো কে প্রধান দায়িত্ব বলে মনে করে। এর বাহিরেও কতর্ব্য ও দায়িত্বের বিশাল জগৎ পড়ে আছে, তা বুঝার ক্ষমতা তাদের নেই। কোন কোন স্বামী বলছে — টাকার যোগান তো আমি দিচ্ছি,তুমি ঘর সামলাও। সন্তান মানুষ করো।
নারী বিদ্বেষিরা বলছে- নারীর চোখ, কান খুলে গেলে তাকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। তাকে শোষণ বা শাসনও করা যাবে না। গৃহপালিত জীব হিসেবে খাঁচায় বন্দি রাখবে কি ভাবে। ধর্মীয় অনুশাসনের ভয় দেখিয়ে উচ্চ শিক্ষিত মেয়েদের চাকুরী বিমুখ করা হচ্ছে। তা হলে মেয়েকে শিক্ষিত করার কি প্রয়োজন ছিলো। এই ধারা বাহিকতা বজায় থাকলে নারী শিক্ষা বাধাগ্রস্থ হবে। সেই কূয়ার ব্যাঙ হয়ে পিছিয়ে দিবে সকল উন্নয়নগামী প্রবাহকে। তা কি বর্তমান সভ্যতা কামনা করে।
অথচ আমরা জানি কমর্জীবি নারীরা ঘর বাহির সমান তালে সামলাচ্ছে। তাদের সন্তানরাও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। হচ্ছে সৎ,মানবতা জ্ঞান সম্পন্ন অতিশয় নমনীয়, সহনীয় সুনাগরিক।

কর্ম, ধর্ম, মানানসই আড্ডায়, নভেল বিজয়, হিমালয় বিজয়, ব্যবসা- বানিজ্য, শিল্প, সংষ্কৃতি, রাষ্ট্র পরিচালনা, মহাশূণ্যে গমন, যুদ্ধ পরিচালনা ইত্যাদি সকল আঙ্গিকেই রয়েছে নারীর সফলতার স্বাক্ষর। তৃণমুল থেকে শুরু করে উচ্চ স্তরের নারীরাও প্রগতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে করছে বিচরন। নারীর উজ্জল সফলতার অভাব নেই। ক্লান্তিহীন পরিশ্রম তারাও করতে পারে। কিন্তু তার কর্মের নেই কোন সামাজিক,রাষ্ট্রীয় বা অর্থনৈতিক স্বীকৃতি। অথচ বাংলাদেশ তার জাতীয় সংবিধানে নারীকে দিয়েছে সমঅধিকারের স্বীকৃতি।যদিও বাস্তবে তার কার্যকারিতা নেই।উত্তরাধিকার ভাবে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে নারীর সম অংশদারিত্বের অধিকার নেই।এ ক্ষেত্রে সরিয়া আইনকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। নারীরা এ ব্যাপারে প্রতিনিয়ত অধিকারের লড়াই করে যাচ্ছে। কবে সে অধিকার পাবে তার নাই কোন ভরসা।তবে নারীর পদচারনা দেখে আমি আশাবাদি অচিরেই নারীর অধিকার প্রতিষ্টিত হবে।
এ দিকে নারীর জন্য রাখা হয়েছে ভর্তি বা চাকুরীর ক্ষেত্রে সংরক্ষিত কোটা প্রথা।জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে স্থানীর সরকারে নির্বাচনিক পদে রেখেছে সংরক্ষিত নারী আসন। নারীর মুক্ত স্বাধীন সত্ত্বা বিকাশোর জন্য, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে এ সমস্ত কোটা ও সংরক্ষিত আসনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।বরং নারী পুরুষে সমধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়। যেখানে ৫২% নারীর বসবাস রয়েছে বাংলাদেশে,নারীও উন্নয়নের সকল স্তরে রাখছে অবদান। দেশের যে কোন ক্রাইসিছে বিলিয়ে দিচ্ছে জীবন প্রাণ, হউক তা সংখ্যাগত দিক দিয়ে যৎসামান্য। সে ক্ষেত্রে কেন নারীকে পেছনমুখী স্রোতে ঠেলে দেওয়ার নীল নক্শা তৈরী করার পায়তারা চলছে।

পরিশেষে বাংলা দেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই পঙক্তি মালা — “এই বিশ্বের যা কিছু মহান চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধক নর।” কে আসুন মেনে নেই।নারীও মানুষ।পৃথিবীর জয়ে,ক্ষয়ে রয়েছে নারীর হাতের ছোঁয়া ও অবদান। নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। আসুন –নারীর জন্য সকল সুসংবাদ মেনে নেই।দুঃসংবাদগুলো অপসারন করার জন্য মানবীয় দৃষ্টি ভঙ্গিকে করি সুপ্রসারিত। নারীর অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে দিয়ে হই মানবিক

লখকঃ কবি,কলামিস্ট,সাবেক সিনেট সদস্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।০১৭১৭৭৬২৭৪৫

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST