ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামীকাল ৯ জিলহজ (সৌদি আরবে) শনিবার ১৫ জুন পবিত্র হজ। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফার প্রান্তর। সারা বিশ্ব থেকে এরই মধ্যে ১৫ লক্ষাধিক হাজি মক্কা নগরীতে সমবেত হয়েছেন।
১৬ জুন ১০ জিলহজ সৌদি আরবে ঈদুল আযহা পালিত হবে। পাঁচ দিনব্যাপী পবিত্র হজের মূল কার্যক্রম গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার মিনায় হাজিরা নিজ নিজ তাঁবুতে ফজর থেকে শুরু করে এশা অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। তবে খায়েফ ও কুয়েতি মসজিদের কাছাকাছি যাদের তাঁবু তারা মসজিদে গিয়েও নামাজ আদায় করতে পারবেন।
শনিবার ভোর পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় জিকির ও ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে সময় কাটাবেন তারা।
কাল শনিবার ভোরে মিনা থেকে -রয়ানা হয়ে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন হাজি সাহেবানরা। এখানে হজের খুতবা শুনবেন। এখানে একসঙ্গে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন। আরাফাতের ময়দানে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থানের পর হাজিরা সেখান থেকে সরাসরি মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। সেখানে খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করবেন। এ সময় শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর মারার জন্য ছোট ছোট পাথর সংগ্রহ করবেন।
এরপর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি, মাথা মুন করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত। ১২ জিলহজ (সৌদি আরবে), ১৮ জুন মঙ্গলবার শয়তানকে শেষবার পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচদি নের হজের কার্যক্রম।
ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে তীব্র গরম উপেক্ষা হাজির হয়েছেন পবিত্র মক্কা নগরীতে। বাংলাদেশ থেকে এবার পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৮৫ হাজার ১২৯ জন।