শিবলী সাদিক খানঃ
ময়মনসিংহে সদ্য বিলুপ্ত জেলা যুব মহিলালীগ’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক স্বপ্না খন্দকারসহ ৫ জনকে বিবাদী করে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা মামলা ও রানীর মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে জেলা যুব মহিলালীগ এর ব্যানারে স্বপ্না খন্দকার সংবাদ সন্মেলন করেছেন ।
স্বপ্না জানান, গত ২ মার্চ /২৪ তারিখে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ইশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক রানী ইসলাম ওরফে রানী মালা (২৭) বাদী হয়ে জেলা যুব মহিলালীগ নেতা স্বপ্না খন্দকারসহ ৫ জনকে বিবাদী করে মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বপ্না বলেন, গত ৬ মে সোমবার রানী মালা প্রেসক্লাবে যে সংবাদ সন্মেলন করে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও সঠিক তথ্যমূলক নয়। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেই সম্পর্কে আমি স্বপ্না খন্দকার কিছুই জানিনা। আপনারা (সাংবাদিকরা) অবশ্যই ভিডিওটি দেখেছেন। সেখানে রানী মালা নিজেই ছেলেটির উপরে উঠে আদর করছে এবং খুব হাসিখুশি ছিলো এবং অন্তরঙ্গ ভাবে একে অপরজনকে মুখে আঙ্গুর ফল তুলে খাইয়ে দিচ্ছেন। যে পুরুষের সয্যাসঙ্গী হয়েছে তাকে আসামী করা হয়নি। যারা প্রতিবাদ করেছে তাদের আসামি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন রানী ইসলাম একাধিক বাসাবাড়ীতে অনৈতিক কাজ করায় বিতারিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি ইমুতে কাজ করে মানুষকে ব্লাকমেইল করে থাকেন বলেও জানান। নিজের অপরাধ ঢাকতে আমার উপর দোষ চাপিয়ে সাইবার আদালতে মিথ্যা মামলা করে আমাদের হয়রানি করছে।
স্বপ্না আরও বলেন, রানী ইসলাম আমার দিগারকান্দা বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতো এবং সেখানে তার রঙ্গলীলা চলতো। ভাড়াটিয়ার এমন রঙ্গলীলার বিষয়ে এলাকাবাসী আমাকে অবগত করিলে আমি তাকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেই । এরপর শুরু হয় তার ব্যাপরোয়া জীবনের রঙ্গ তামাশা । যার শিকার হই আমি এবং আমার পরিবার ও সাধারন মানুষ এই মামলার আসামী হয়েছি। এই ভিডিও ভাইড়াল বিষয়ে আমার কোন যোগসুত্র নেই । সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে ক্ষতিসাধান করতে এই মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে । সংবাদ সন্মেলন করার পর একটি মানববন্ধনও করে জেলা প্রশাসনে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন স্বপ্না ধন্দকার।