নিজস্ব প্রতিবেদক কিশোরগঞ্জঃ
কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার মোঃ সুলতান খান (৩০) পিতা-মোঃ মুনজত আলী খান, মাতা-মৃত হেলেনা আক্তার, সাং-মেছেড়া, পোঃ মেছেড়া, থানা- হোসেনপুর, জেলা-কিশোরগঞ্জ। বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন যে, বিবাদীঃ ১। মোঃ মুনজত আলী খান, (৬০), পিতা-মৃত নিয়ামত আলী খান ২। রোকেয়া (৪৫) স্বামী-মুনজত আলী খান ৩। মনির আহাম্মেদ খান (২৬) পিতা-মুনজত আলী খান ৪। পান্না আক্তার (২৮) পিতা-মুনজত আলী খান সর্ব সাং-মেছেড়া, পোঃ মেছেড়া, থানা-হোসেনপুর, জেলা-কিশোরগঞ্জ। ১নং বিবাদীর সহিত আমার মৃত মাতা হেলেনা আক্তারের বিবাহ হয়। আমার পিতা মুনজত আলী খানের সহিত বনি বনাত না হওয়ায় বিগত ইং ০২/০৮/১৯৯২ সনে গ্রামীন শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে তালাক হয়ে যায় এবং আমার পিতা আমাকে ভরনপোষণের জন্য তাহার নিকট রেখে দেয়। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমার পিতা আমাকে ছোট বেলায় মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করিলে উক্ত বিষয়টি আমার মামা অবগত হইয়া আমাকে তাহাদের বাড়িতে নিয়া যায় এবং লালন পালন করে। আমার মাতা হেলেনা আক্তার বিগত ইং ১০/১১/১৯৯৯ সালে মৃত্যুবরন করেন। আমি সাবালক হইয়া নরসিংদী জেলায় মাধবদীতে টেক্সটাইলে জীবিকা নির্বাহের জন্য চাকুরী করিতেছি। আমার পিতা পুনরায় দ্বিতীয় বিবাহ করে। বিবাহ করার পর দ্বিতীয় সংসারের সন্তানদের ও সৎ মায়ের কু – পরামর্শেআমাকেতাহার নিজ সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতে চায় না। ২০২৪ খ্রীঃ রোজা ঈদে পিতার বাড়িতে গেলে আমার পিতা সহ সৎ ভাই, সৎ বোন, সৎ মা আমাকে বাড়িতে উঠতে দেয় না। বরং আমাকে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। আমি উক্ত বিষয়টি গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানাইলে গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি দেখবে বলে জানায়। আমি তাহাদের কথামত চাকুরীতে চলে যাই এবং পুনরায় ১৫/০৫/২০২৪ ইং তারিখে পিতার বাড়িতে গেলে সকল বিবাদীগণ আমাকে দেখে উত্তেজিত হইয়া যায় এবং এক পর্যায়ে তারা সবাই মিলে আমাকে খুন করার হুমকি দেয় এবং শরীরে আঘাত করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার পিতা আমাকে অবৈধ সন্তান বলে গালি দেয় এবং আমাকে সন্তানের পরিচয় দিতে নারাজ করে। আমি নাকি তাহার সন্তান না। সকল বিবাদীগণ আমাকে ঠেলাঠেলি করে বাড়ি হইতে দুর দুর করে তাড়াইয়া দেয় এবং বলে আমি যদি কখনোও আমার পিতা মুনতাজ আলী খানের পরিচয় তাহলে তাহারা আমাকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে। সকল বিবাদীগণ আমাকে আমার পিতা মুনতাজ আলী খানের পিতার বৈধ পরিচয় হইতে বঞ্চিত করছে এবং আমার পিতার সম্পত্তি থেকে এবং তাহারা আমাকে আমার পিতার সম্পত্তিতে কোন প্রকার অধিকার দিবেনা বলে সাফ জানাইয়া দেয়। উক্ত বিষয়টি আমি আবারও গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানাই। গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানাইলে গ্রামের হিতৈষী ব্যক্তিবর্গরা জানাই আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার পিতা মুনতাজ আলী খান আমার মাতা হেলেনা আক্তারকে তালাক দিয়া ২য় বিবাহ করে। তুমি তোমার পিতার বৈধ সন্তান ও উত্তরাধিকারী। আমি আমার পিতার পরিচয় হইতে বঞ্চিত হইতেছি এবং আমার পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
পিতার পরিচয় পাওয়ার দাবীতে মোঃ সুলতান খান কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অদ্য ১৬/৫/২০২৪ খ্রীঃ একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত হলে মূল রহস্য ও সত্য ঘটনা জানা যাবে, কেন মোঃ মুনতাজ আলী খান তার প্রথম মৃত স্ত্রীর পুত্র সন্তানের পরিচয় দিতে অস্বীকার করছেন।