স্টাফ রিপোর্টার :
কিশোরগঞ্জ
জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের খামার দেহুন্দা একাডেমীর শিক্ষার্থীরা চাঁদা দাবীর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে একাডেমীতে সমাবেত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা একই গ্রামের হযরত আলী গংদের বিরুদ্ধে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে করে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খামার দেহুন্দা একাডেমীর প্রধান
শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সহকারী শিক্ষক মোঃ আলমগীর ও অভিভাবকদের পক্ষে মোছাঃ লাকী আক্তার। এ সময় বক্তারা বলেন দুষ্কৃতকারী হযরত আলী তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে খামার দেহুন্দা একাডমী প্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকে একের পর এক হামলা ও ভাংচুরসহ বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতির অপচেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শালিস দরবারের রায়কে অমান্য করে হযরতআলী তার বাহিনী নিয়ে একটি জমি বিক্রির লেনদেনকে কেন্দ্র করে দরবারী আবু শহীদের উপর আক্রমণ করে।
শালিস দরবারী আবু সহিদ এর উপর হামলার ঘটনার পর হযরত আলী গং আবার খামার দেহুনা একাডেমিতেও ভাংচুর চালায় । হামলাকারীরা আবু শহিদকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওই দিন বিকেলে সংঘবদ্ধরা আবু সহিদ এর বসত বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে মহিলাদের উপর চড়াও হয়। রুহেনা, লাকী আক্তার ও রিতা আক্তারদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। বক্তারা আরো বলেন- দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর এমন বর্বর ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর ও – দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পরে এ ঘটনায় করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। মামলাটি তদন্ত করে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ ইতিমধ্যে কিশোরগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। আর এতেই হযরত আলী ও তার বাহিনী চরম ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। মামলার বাদী প্রধান শিক্ষক দ্রুত তাদের দাবীর চার লক্ষ টাকা চাঁদা না. দিলে ও দায়েরকৃত মামলা তুলে না নিলে। মামলার বাদী ও তার পরিবারের আর রক্ষা নেই বলে হুমকি দিচ্ছে । এমনকি প্রতিষ্ঠানটি ও
তারা গুড়িয়ে ফেলার হমকী দিচ্ছে। এ ব্যাপারে দেহুন্দা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ বলেন, এ ঘটনার মিট-মিমাংসার জন্য আমি কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু বিবাদীরা প্রভাবশালী বলে তারা কোন সাড়া দেয়নি। করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে যথারীতি চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে। এমনকি পরে তাদের বিরুদ্ধে থানায় আরো একটি – সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। এখন চাঁদাবাজির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।