নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ১১নং নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার দুপুরে করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে স্থানীয় লোকজন ও ভোক্তভোগী মহিলা মেম্বারসহ প্রতারিত লোকজন এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ কারী
শতাধিক নারী পুরুষের দাবি
চেয়ারম্যান মোস্তফা ৪০ দিনের কর্মসূচীর ও বিধবা ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা কার্ড সহ বিভিন্ন কার্ডে ও
কর্মসূচীতে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা মেম্বারদের মাধ্যমে এবং স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে। চাহিদা মতো টাকা না দিলে কোনো কার্ড পাওয়া যায় না। এমনকি গত ঈদে মেম্বারদের টাকা পর্যন্ত চেয়ারম্যান তোলে নিয়ে গেছে। এসব ঘটনায় প্রতিবাদ করলেই চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে অভিযোগকারীদের উপর হামলা করে।
নাজমা আক্তার মহিলা মেম্বার মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেন, ১১নং নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল
গত ০৪/০৪/২০২৪ইং রোজ: বৃহস্পতিবার বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আমার উপর শারীরিক
নির্যাতন চালায়, এমনকি আমার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে মারধর করে, এলাকাবাসী ও পুলিশ
এসে আমাকে উদ্ধার করে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। উক্ত ঘটনায় আমি কিশোরগঞ্জ জজ
কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি যাহার নং- ১০৪/২০২৪ (তদন্ত) এই মামলা করার পর থেকে চেয়ারম্যান আমাকে প্রাণনাসের
হুমকি দিচ্ছে। উল্লেখ্য যে উল্লেখ্য যে, গত ০৯/০৪/২০২৪
তারিখে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে,তারো কোনো সুরাহা হয়নি।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, মহিলা মেম্বার
শামীমা,নাজমা,রোকেয়া সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার, আসাদুল্লাহ,বাবুল মিয়া, মহিন মিয়া, বিলকিস ও ইয়াসমিন তাদের দাবি চেয়ারম্যান মোস্তফা তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয় মামলা শেষ করে দেবে বলে কিন্তু তা না করে টাকা মেরে দিয়েছে।
তাই তারা বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যানের বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের বিচার চেয়ে এ মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
বক্তব্য তারা বলেন আমাদের সমস্য সমাধানের জন্য প্রশাসনিক সহয়তা পেতে আজ এ মানববন্ধন।