ওয়াসিম কামাল
যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়াতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনের শুরুতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প স্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দূতাবাসের হলরুমে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয়ের সভাপতিত্বে “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তৃতার শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একইসাথে তিনি কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতাকে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত মুজিবনগর সরকার গঠনের বিস্তারিত প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন বাংলাদেশের মহান স্বধীনতা অর্জনের পিছনে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের অবদান ছিল অনন্য এবং মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থন ও সহযোগিতার পথ প্রসারিত হয়। মান্যবর রাষ্ট্রদূত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানানো মাধ্যমে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান।
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শাহাদাতবরণকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।