মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার :
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সারা বাংলাদেশে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার কটিয়াদী পৌরসভার বেথইর গ্রামের তানজিম মোনতাকা সর্বা। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সর্বা ১শ নম্বরের এক ঘণ্টার এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ৯২.৫ নম্বর পেয়ে দেশ সেরা হয়েছে। ১১ই ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষনা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন। তানজিম মুনতাকা সর্বা কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার কটিয়াদী পৌর সদরের বেথইর গ্রামের প্রকৌশলী আব্দুর রহমান সবুজ ও গৃহিণী চায়না বেগমের বড় মেয়ে। প্রকৌশলী আব্দুর রহমান সবুজ ও গৃহিণী চায়না বেগম দম্পতির এক পুত্র ও দুই কন্যা। তানজিম মুনতাকা রাজধানীর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয় । তানজিম মোনতাকা সর্বা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে দেশসেরা হওয়ার খবর মুহূর্তে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছড়িয়ে পড়ে। সর্বার বাবা মা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট শুকরিয়া আদায় করে বলেন, আমাদের মেয়ে সর্বা যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছে, সেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষকগণ সবাই আমার মেয়েকে ভালো বলেছে। তবে সে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় দেশ সেরা হবে তা আমরা কখনও ভাবতে পারিনি। তানজিম মুনতাকা সর্বা বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি যে আমি ঢাকা মেডিক্যালে চান্স পাব। আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে হাজার শুকরিয়া আদায় করছি। সেই সাথে আমি আমার অভিভাবক, শিক্ষক ও আত্নীয় স্বজনসহ সকলের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। সর্বা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশ সেরা হওয়ায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক সচিব কটিয়াদীরের কৃতি সন্তান হোসেন আবদুল মান্নান নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখে অভিব্যক্ত প্রকাশ করেন। পাঠকদের জন্য নিম্নে হুবহু প্রকাশ করা হলো :- আমি অভিভূত ও আনন্দিত ! ” হোসেন আবদুল মান্নান ” মেয়েটির অর্জন আমাদের জেলার জন্য গর্বের বিষয়। শুনেছি আমার জন্মস্হান কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলাতেই তাদের পৈত্রিক ভিটা। এতে আরও বেশি গর্ববোধ করছি। আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত ছোট্ট সংবাদটি অনেকের মত আমারও নজর কেড়েছে। নাম তানজিম মুনতাকা সর্বা। সে আসলেই সর্বেসর্বা। মেডিকেলের চলতি শিক্ষাবর্ষের (সরকারি- বেসরকারি মেডিকেল কলেজ) এমবিবিএসে’র ভর্তি পরীক্ষায় সে সেরাদের সেরা হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম হয়েছে। যেখানে পাশের হার মাত্র ৪৭.৮৩ শতাংশ। সে পেয়েছে ৯২.৫ শতাংশ নম্বর। উল্লেখ্য, দু’বছর আগের পরিসংখ্যান মতে দেশে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ১০৭ টি। ঢাকার নামকরা দুটো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ভিকারুননিসা নূন এবং হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজে থেকে তার পড়াশোনা দেখেও আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। সর্বার জন্য আমাদের নিরন্তর প্রার্থনা। আমার দেশ তার দিকে তাকিয়ে। নারীদের জয়জয়ন্তীর এ পৃথিবীতে সর্বাদের স্হান হোক বরাবরই শীর্ষে।