মোঃ সারোয়ার জাহান বিশেষ সংবাদদাতা
চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ। স্টলে স্টলে সারি সারি পিঠার মনোমুগ্ধকর প্রদর্শন। কেউ বানিয়েছেন নবাবি সেমাই, কেউ বানিয়েছেন হৃদয় হরন, কেউবা বাহারি গোলাপ, বউপিঠা, পুলি পিঠা ও চন্দ্র পুলিসহ নানা নামের ও রংয়ের মুখরোচক পিঠা।
বুধবার(৩১জানুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জ শহরের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়া চত্বর জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ পিঠা উৎসব। কলেজ কর্তৃপক্ষ এ উৎসবের আয়োজন করে।
পিঠা উৎসবে বসেছে হরেক রকমের পিঠার মেলা। শিক্ষার্থীদের তৈরিকৃত এসব পিঠা দেখতে স্টলে স্টলে ভিড় করেছে দর্শনার্থীরা।
উৎসবে অসংখ্য স্টলের দেখা মিলে।শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ হাতে তৈরি করা পিঠা সাজিয়েছে তাদের স্টলে।দেখা মিলেছে-চমচম, ডালের বরপি, দামি, ফুল, নকশি, মসলা, পাতা, তাল, ডিমের বিস্কুট, পাটিসাপ্টা, জামাই, চন্দ্র পুলি, খাজা, তামি, দুধ পুলি, চেঁপা, ঝিনুক, ছিটা, মেরা, মালফি, দুধ চিতই, দুধ ডাল, বিফ, ডিম-ডাল পাকুরা, শামুক, চিতল, চুয়া, নারিকেল,ডালিয়া পাক্কন,বাঁধাকপি পিঠা,সতিন মোচর,ঝল পাটিসাপটা, মাছের মশলা পিঠা,ঝাল মাংশ বড়া,পুডিং,ডিম পানতুয়া,গাজরের লাড্ডু, দুধ চিতই,মালাই রোল,পোলাউড়ি,শাহি টুকরা,থামি পিঠা,ধনিয়া পাতার পাকুড়া,উচ্ছে পিঠা,চিংড়ি পিঠা,আলুর পুলি পিঠা,চিকেন দম,ভাতের ভরা,নুডলসের পাকুড়া,চকলেট অরেঞ্জ,নারিকেলের নাড়ু,লবঙ্গ পিঠা,মালপুয়া,ভাপা পিঠা,আন্দেশা পিঠা,নরমাল ম্যারা পিঠা,দুধের নাড়ু,ফুটন্ত গোলাপ, মালা পিঠা,ডিম সুজি,নকশী ফুল,বিবিখানা পিঠা,কলা পিঠা,ধান সেমাই,সবজি পাকুড়া,জামাই পিঠা,সতীনচূড়া,কমলা পুলি,পান তোয়া,চাকতি পিঠা,বাদামের হালুয়া,আতা কমলা,সেমাই এর শ্রীখান্দ,বন পিঠা,সবজির রোল,মাংসের চপ,মাছের পওকর্ণ,সবজি বড়া,চিড়ার নাড়ু,ময়নামতি,পাস্তা,নারিকেলের তক্তি,সন্দেস,ভালোবাসা ডটকম,বিস্কিট পিঠা,পকড়া,ডোনাট পিঠা,শিউলি পিঠা,বিবিখানা,দুধ পাকন,কুমড়া পিঠা,চিকেন মমো,দুধ পাকন,ক্ষীর কদলী,তেজপাতা পিঠা,সুজির বরফি,মাছের সমুচা,ব্রেড টোস্ট, রস খাজা,রস খাজা,তালের বড়া,পায়েস,রস কদম,কাঠালের রসবড়া,বউ পিঠা,পাটিসাপ্টা,কস্তুরি পিঠা,মুড়ির মোয়া,মিনি নকশা,মেরা পিঠা,মাফলা পিঠা,চেপা পিঠা,রুই মাছের চন্দ্র পুলি,শামুক পিঠা,ভাজা সেমাই,ভাপা পিঠা,মন পিঠা,লং পিঠা, ডুবা পিঠাসহ প্রায় ৩০টি স্টলে তিনশতাধিক রকমের পিঠা সাজানো রয়েছে।
বেলা ১টার দিকে সকল স্টল পরিদর্শণ করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর আ.ন.ম.মুশতাকুর রহমান, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড.মো: মেহেদী হাসান। সঙ্গে ছিলেন শিক্ষক পর্ষদের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ।
শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতি মঞ্চে বসন্ত বাতাসে সই গো,শ্রাবণের মেঘগুলি জড়ো হলো আকাশে,ময়না ছলাৎ ছলাৎ চলে রে এমন অসংখ্য গান গেয়ে উচ্ছ্বসিত করে রাখে পুরো ক্যাম্পাস।