ডেস্করিপোর্ট : কিশোরগঞ্জের তাড়াইল হতে যাত্রীবেশে অটোরিক্সা চুরি এবং কেন্দুয়া থানা এলাকায় চোরাই অটোসহ ০৩ জন আটক; মামলা রুজু।
অটোরিক্সা চালক মোকাররম (২৩), পিতা-ফাইজুল, সাং-ধলা (সারং বাড়ি), থানা-তাড়াইল, জেলা-কিশোরগঞ্জ ২০/১১/২০২৩ খ্রি: সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় অটোরিক্সাটি নিয়া বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। ঐ দিন বেলা অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় আসামী ১। সোহাগ (২১), পিতা-চান্দু মিয়া, মাতা-রেহেনা খাতুন, সাং-সুতুরকান্দা, ২। রামিন (২০), পিতা-গোলাপ মিয়া, সাং-বলাকিপুর, উভয় থানা-কিশোরগঞ্জ সদর, জেলা-কিশোরগঞ্জ, ৩। এনামুল হক (২১), পিতা-মৃত নিজামুল হক, সাং-বিজয়পুর, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহগন ভিকটিম মোকাররমকে ৫০০/- টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে তাড়াইল বাজার থানা মোড় হতে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথিমধ্যে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিম অটোরিক্সা চালক মোকাররমকে জুসের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে পান করায় । ভিকটিম বিষয়টি কেন্দুয়া থানাধীন আদমপুর সাকিনস্থ জনৈক শরীফের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছানেরা পর বুঝতে পেরে ডাক চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এসে উল্লেখিত (যাত্রী) আসামীদের আটক করে। স্থানীয় লোকজন কেন্দুয়া থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে কেন্দুয়া থানা পুলিশ উল্লেখিত স্থানে আসে এবং আসামীদের ধৃত করে ও অটোরিক্সা জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। ভিকটিমের বড় ভাই নুরালম (২৩), পিতা-ফাইজুল, সাং-ধলা (সারং বাড়ি), থানা-তাড়াইল, জেলা-কিশোরগঞ্জ বিষয়টি তাড়াইল থানা পুলিশকে অবহিত করে এবং ভিকটিমকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। পরবর্তীতে তাড়াইল থানা পুলিশ কেন্দুয়া থানা হতে ভিকটিমের ব্যবহৃত অটোরিক্সা ও আটককৃত আসামীদের নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই এর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাড়াইল থানার মামলা নং-৬, তারখি ২১-১১-২০২৩; ধারা- ৩২৮/৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে । ভিকটিমকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ধৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।