1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
বাজিতপুর বিএনপি’র উদ্যোগে ইসরাইল বাহিনীর বিমান হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল কিশোরগঞ্জে হিসাব সহকারী কম্পিউটার অপারেটরও ইউপি কর্মকর্তাদের নিয়ে গ্রাম আদালতের প্রশিক্ষণ আমি যদি পাখি হতাম প্রিটোনিয়া প্রকাশনার উদ্যোগে ‘রকের আড্ডা’র রজত জয়ন্তী পালন ময়মনসিংহে নিউজ ষ্টুডিও উদ্ভোধন করলেন জেলা প্রশাসক মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা নরসুন্দা নদী খননের নামে খাল বানানো হচ্ছে বাবাকে বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রপাতে তরণীর মৃত্যু তাড়াইলে সবুজ পল্লব ফাউন্ডেশনের কমিটি গঠন নান্দাইলে বাঙালির ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ-বর্ষবরণ-১৪৩২ উদযাপন
শিরোনাম
বাজিতপুর বিএনপি’র উদ্যোগে ইসরাইল বাহিনীর বিমান হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল কিশোরগঞ্জে হিসাব সহকারী কম্পিউটার অপারেটরও ইউপি কর্মকর্তাদের নিয়ে গ্রাম আদালতের প্রশিক্ষণ আমি যদি পাখি হতাম প্রিটোনিয়া প্রকাশনার উদ্যোগে ‘রকের আড্ডা’র রজত জয়ন্তী পালন ময়মনসিংহে নিউজ ষ্টুডিও উদ্ভোধন করলেন জেলা প্রশাসক মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা নরসুন্দা নদী খননের নামে খাল বানানো হচ্ছে বাবাকে বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রপাতে তরণীর মৃত্যু তাড়াইলে সবুজ পল্লব ফাউন্ডেশনের কমিটি গঠন নান্দাইলে বাঙালির ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ-বর্ষবরণ-১৪৩২ উদযাপন

হোসেনপুরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে একসঙ্গে কবর

  • প্রকাশ কাল শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৩০ বার পড়েছে

সঞ্জিত চন্দ্র শীল

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে নিজ ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী ও দুই মেয়ের মরদেহ গত শুক্রবার বিকেলে দাফন করা হয়েছে। স্ত্রী ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের তিন দিন পর গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে মঞ্জিল মিয়ার শ্বশুরবাড়ি পাশের পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের নরপুর গ্রামে জানাজা শেষে তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিজ হাতে দাফন করেন তিনি। এ সময় স্বজনহারা মঞ্জিল মিয়ার বুকফাটা আর্তনাদ ও আহাজারিতে উপস্থিত শতশত নারী পুরুষের কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। গোরস্থান এলাকায় তৈরি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।

গতকাল শনিবার একান্ত সাক্ষাৎকারে সৌদি আরব প্রবাসী হতভাগ্য মঞ্জিল মিয়া বলেন, “দীর্ঘ ছয় বছর ধরে আমি প্রবাসে ছিলাম। আমার সব কিছুই ভালোই চলছিল। হঠাৎ করে এক ঝড় এসে আমার সব কিছু শেষ করে দিয়ে গেছে। দেশে ফিরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিজ হাতে এভাবেই কবর দিতে হবে তা কোনো দিন ভাবিনি। দুনিয়াতে আমার আর কেউই রইল না। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার চাই।” এদিকে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে গত ১৫ নভেম্বর নিহত গৃহবধূ তাস‌লিমা আক্তারের ভাই কবীরুল ইসলাম নয়ন বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। কবীরুল জানান, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ আমাদের গ্রামের বাড়ি পাকুন্দিয়া নরপুর গ্রামে নিয়ে আসি। আমার বোন জামাই শেষবারের মতো দেখার ইচ্ছা পোষণ করায় আমরা দুই দিন ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ বাড়িতে রেখে দেই। বোন জামাই মঞ্জিল গত শুক্রবার সৌদি থেকে আসার পর আমাদের গ্রামের বাড়িতে দাফন কাফন সম্পন্ন হয়। জানাযায়,ঘটনার দিন সকালে বাসুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার প্রতিদিনের মতো তার সহপাঠী মোহনাকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে যায়। সকালে মোহনার বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ডাকাডাকি করে। একপর্যায়ে দরজা খোলা দেখে সে ঘরে ঢুকে মোহনা ও তার মা-বোনকে আলাদা খাটে শুয়ে থাকতে দেখে। শিক্ষার্থী ফারজানা বলে, ঘরে প্রবেশ করে কাকিকে ডাকতেছি- কাকি মোহনা কি স্কুলে যাবে না? তারপর আমি কাকিকে ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে বন্যা আর মোহনাকে ঘুম থেকে জাগাতে হাত ধরে টানাটানি করি। কিন্তু মোহনা শরীর তখন পাথর হয়ে গেছে। মোহনাকে টানি কেউ উঠে না। এরপর ছোট বোন বন্যা সেও উঠে না। পরে মোহনার মায়ের কাছে গিয়েছি আবার, মাও উঠে না। পরে ডরে আমি ঘর থেকে বের হয়ে গেছি। তারপর আমার আরেক বান্ধবী লামিয়ার কাছে গিয়ে সব কথা বলেছি। তখন বান্ধবী লামিয়া বলে গিয়ে দেখছিস রক্ত চলাচল করে কিনা তখন আমি বলি না। পরে সে ও আমি আবার গিয়েছি। গিয়ে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করি ঘুম থেকে উঠার জন্য, কিন্তু উঠেনি। তখন আমরা স্কুলে যাই গিয়ে আমাদের আরেক বান্ধবীকে বলি। সে আবার বাড়িতে এসে দেখে সবাইকে বলে। পরে জানতে পারি তারা সবাই মারা গেছে।

নিহত তাসলিমা আক্তারের ভাসুর গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রতিদিনের মতোই সকালে গরু ঘর থেকে বের করে আমি বন্দে (কৃষি জমিতে) চলে যাই। বন্দে থেকে আরেকবার আছি ৯টার কাছাকাছি সময়ে। এসে নাস্তা খেয়ে আমি একটু শুয়েছি। এরপর ওই বাড়ি চিৎকার চেঁচামেচি হলে আমি উঠে গিয়ে তাদের লাশ দেখে আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাই।

তিনি আরো বলেন, তাদের ঘর থেকে একটা মেমোরি কার্ড পাওয়া গেছে। সেই মেমোরিতে পাশের বাড়ির এক ছেলের কণ্ঠ পাওয়া গেছে। আমরা থানায় জমা দিয়েছি। এখন সেই ছেলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা সেটা বলতে পারি না। সেই ছেলে বর্তমানে আটক আছে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেইনি। তবে তাছলিমার ভাই অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেন, ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড। যদিও আমরা এখনো ময়নাতদন্তে রিপোর্ট পাইনি। তবে আমরা মার্ডার ধরেই আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসছিলাম। এর মধ্যে পাঁচজনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।তাদের কাছে সন্দেহজনক কিছু পাইনি। অন্য দুজনকে আমাদের মনে হয়েছে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। একজনের নাম জাহাঙ্গীর অন্যজনের নাম ছোটন। এই দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা রিমান্ডের আবেদন করেছি। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবো। এই দুইজনের বিরুদ্ধে কিছু তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে আছে। এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য,গত ১৪ নভেম্বর হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের নিজ ঘরের বিছানা থেকে সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), বড় মেয়ে মোহনা (১১) ও ছোট মেয়ে বন্যার (৭) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST