স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এ আতঙ্কে ঘর ছাড়া কয়েক শতাদিক নেতা-কর্মী। ইতিমধ্যে বিএনপির ৫৮ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পৃথক পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি নেতাদের পরিবারের দাবি,কাউকে গভীর রাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ও বিভিন্ন বাজার, রাস্তা-ঘাট থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, নাশকতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পৌর বিএনপির মোঃ জুলমত হোসেন ,মোঃ শামীম পৌর বিএনপি,মোঃনজরুল ইসলাম পৌর বিএনপি, মোঃ আলম হোসেনপুর উপজেলা ছাত্রদল, আবুল কালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর বিএনপি, মোঃ মোবারক হোসেন,যুগ্ন আহবায়ক আড়ায়বাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদল মোঃ মোশারফ হোসেন,যুগ্ন আহবায়ক পুমদী ইউনিয়ন বিএনপি, মোঃ আবুল হোসেন,সাবেক সভাপতি ১নং ওয়ার্ড পৌর বিএনপি মোঃ বাচ্চু মিয়া, ১নং ওয়ার্ড পৌর বিএনপি, মোঃ উজ্জল মিয়া সিদলা ইউনিয়ন যুবদল সহ সভাপতি , মোঃ টুটল পৌর যুবদল, আ ন ম জহিরুল ইসলাম পৌর যুবদলসহ অন্যান্যরা।

বিএনপির নেতা মোঃ মোশারফ হোসেনের পরিবার বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘর থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা ঠুকে দিয়েছে।

থানা হাজতে থাকা অবস্থায় পৌর সভার বিএনপির নেতা শামীম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তবুও আমাকে গভীর রাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে গায়েবি মামলা ঠুকে দেয়।’

এ বিষয়ে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু, জনগনের জানমাল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব আমরা অযথা কাউকে হয়রানি করছি না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহব্বায়ক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির হরতাল অবরোধ ঠেকাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়িতে থাকতে পারছেন না শত শত নেতা-কর্মীরা। এমন পুলিশি আচরণ ১৯৭১ সালেও দেখিনি ।

সেচ্ছা সেবকদলের উপজেলা আহব্বায়ক মোঃ সৈকত আহম্মদ জানান, এ কেমন আজব দেশে বসবাস করিছি আমরা, বাবা বিএনপি করে তিনি আসামী নন তার পরেও খুজঁছে পুলিশ কিন্তু তাকে পাচ্ছেন না বিধায় পরিবারের লোকজন কে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে, আইন নিজেদের ইচ্ছে মত চালাচ্ছে। কথা বলার অধিকার নেই, মত প্রকাশের অধিকার নেই এত মানবধিকার লঙ্ঘন, মির্জাফরের যুগেও দেখেনি মানুষ। যা দেখছে বাকশালী হাসিনার আমলে।

সেচ্ছাসেবক দলের হোসেনপুর উপজেলার যুগ্ন আহব্বায়ক মোঃ সারোয়ার জাহান (তছলিম) বলেন, সরকারী পুলিশ এখন হায়ানার মতো হয়ে গেছে, যাকে খুশি ধরছে, যাকে খুশি মারছে বাবা কে পাচ্ছে না বলে ছেলে কে নিয়ে যাচ্ছে, এক ভাই কে পাচ্ছে না বিধায় অন্য ভাই কে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে এখন কি আর করা, হয় বাচঁবো না হয় মরবো। এখন সময় আছে পুলিশ ভাইদের বলি আপনারা জনগনের সাথে থাকুন গুলিছুড়া বন্ধ করুন।

পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ রাজিব জানান, ঢাকা সমাবেশ শেষে ২৮ অক্টোবরে পর থেকে একটি রাত বাড়িতে থাকতে পারিনি রাজনৈতি করা কি অপরাধ, এ দেশটা কি আওয়ামীলীগ কিনে নিয়েছে, তাদের বাপ দাদার ভিটের হিসাবে তাদের মত ব্যবহার করবে যখন যেভাবে মন চাইবে। শান্ত হোসেনপুর কে অশান্ত করে তুলবেন না।
পুলিশ ভাইদের বলি দল পরিবর্তন হবে আপনার চাকরী থাকবে তাই বাকশালীদের কথায় উঠবস করবেন না।