নিজস্ব প্রতিবেদক :

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে, দেশী মুরগী ও ছাগল পালনের ঘর নির্মানে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তাড়াইল উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে দেশী মুরগী ও ছাগল পালনের ঘর নির্মানে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাড়াইল উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী বলেন, কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রাণিসম্পদ (এলডিডিপি)প্রকল্পের ২০২২- ২০২৩ অর্থ বছরে, পিজি, সদস্যদের মাঝে ছাগল ও দেশী মুরগীর ঘর নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে তাড়াইল উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা।

অনেকের অভিযোগ তাড়াইলে, ২০২২, ২০২৩, অর্থ বছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে, প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে, দেশী
মুরগী ঘর নির্মানে দামিহা ইউনিয়নে ৩০ জন নারী পিজি সদস্যকে, জন প্রতি, বিশ হাজার টাকা, বরাদ্দ দেয় বিশ্বব্যাংক। এছাড়াও একই প্রকল্পে, ছাগল পালনের জন্য ধলা ইউনিয়নে, ৩৭ জন পিজি নারী সদস্যকে, জনপ্রতি, বিশ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়।
পিজি সদস্যদের নিজ নিজ হিসাব নম্বরে, জনপ্রতি বিশ হাজার, টাকা করে জমা করে বিশ্বব্যাংক। পরে পিজি সদস্যদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সকল টাকা নিয়ে যায়, যা আইন বহির্ভূত।

পিজি সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে ছাগল ও মুরগীর ঘর নির্মানের সামগ্রী ক্রয় করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নিজের মনমত ঘরের সামগ্রী ক্রয় করেন, এবং নিন্মমানের ঘর তৈরি করে। পরবর্তীতে পিজি সদস্যরা পন্য সামগ্রী ক্রয়ের ভাউচার, ম্যামো ও প্রতি ঘরের খরচ জানতে চাইলে প্রাণী সম্পদ কর্মকতা পিজি সদস্যদেরকে হুমকি ধামকি দেন বলেও, অভিযোগ রয়েছে । বেশি বাড়াবাড়ি করলে, ঘর তো দূরের কথা, তোমাদের সদস্য পদ বাতিল করে দিবেন বলে হুমকি দিচ্ছে । প্রতি ঘরের বাজেট বিশ হাজার টাকা,হলেও এই ঘর তৈরি করতে দশ থেকে বারো, হাজার টাকা খরচ হতে পারে বলে দাবি করে তারা।
এ ছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, তাড়াইল, প্রাণী সম্পদ (এলডিডিপি)ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের দামিহা ইউনিয়নে এলএসপি পদে চাকুরী করেন বলরাম সরকার, তার ধর্ম হিন্দু। সে হিন্দু বিধায়, দামিহা ইউনিয়নে চিকেন পিজি দেশী মুরগীর বিশ হাজার টাকা বাজেটের বরাদ্দকৃত ত্রিশটি ঘরের মধ্যে ২৬টি ঘরই পেয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। এছাড়াও শিপ্রা রানী সরকার কিশোরগঞ্জ শহরে শশুর বাড়ি থেকেও দামিহা ইউনিয়নে দেশী মুরগীর ঘরসহ পাচ্ছে, প্রাণী সম্পদের ট্রেনিংভাতা ও যাবতীয়ও সুবিধা। এবং সেখানে স্বামীর সংসার করেও শিপ্রা রানী সরকার, প্রানী সম্পদের ট্রেনিং ভাতা পাচ্ছেন, এলএসপি বলরামের আত্মীয়, ও একই সম্প্রদায়ের লোক বলে।

তাড়াইল উপজেলা প্রাণীসম্পদ এলডিডিপি প্রকল্পের পিজি সদস্যরা বলেন, আমাদের টাকা, আমরা ঘর তৈরি করব। প্রাণী সম্পদ কর্মকতা, কেন আমাদের টাকা নিবে।

তাড়াইল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নূরজাহান বেগম ভুক্তভোগী পিজি সদস্য ও খামারিদের ঘর তৈরিতে অনিয়মের ব্যাপারে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করে।

প্রাণীসম্পদ, এলডিডিপি প্রকল্পের, নীতিমালায় রয়েছে, প্রতিটি পিজি সদস্যদের বিশ হাজার টাকা বাজেটে ছাগলের ঘর পেতে হলে, প্রত্যেক সদস্যদেরকে দুটি করে ছাগল, থাকতে হবে। সরেজমিনে দেখা গেল ৩৭জন সদস্যর মধ্যে থেকে ২ থেকে ৩জন সদস্যর ছাগল আছে। তাহলে আর বাকী সদস্যরা কিভাবে ছাগলের ঘর পেল তা নিয়ে চলছে গবেষণা।