স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রবীণ শিক্ষাবিদ আবু খালেদ পাঠানের মৃত্যুতে সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন জেগে ওঠো নরসুন্দা হারালো এক অভিভাবককে। মরহুমের মৃত্যুতে সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন জেগে ওঠো নরসুন্দা শোকাহত ।

প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যপ্রেমী আবু খালেদ পাঠানের মৃত্যুতে সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আহমেদ উল্লাহ এক শোকবার্তায় বলেন, মৃত্যু হল মানুষের জীবনের একটি সব থেকে কঠিন বাস্তব যা অবধারিত কিন্তু মেনে নেওয়া খুব কষ্টসাধ্য। প্রিয়জনের বিয়োগজনিত ব্যথার থেকে বড় শোক বোধ হয় আর কিছুই হয় না। আমরা সকলেই জানি যে মৃত্যু জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ তবুও কিছু কিছু মৃত্যু মানুষকে চূড়ান্তভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলে। তেমনি প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও আবু খালেদ পাঠানের মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত, তিনি একজন সংগঠন প্রিয় ও মানববান্ধব সামাজিক মানুষ ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জের ‘ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা’ আয়োজনে ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম। আমি মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
আবার সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আবুল কাশেম প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও আবু খালেদ পাঠানের মৃত্যুতে এক শোকবার্তায় বলেন, “দ্রুত চলে যায়,ফিরে নাহি চায়, রাখতে ধরে মন চায়,হায়! মানুষ নিরুপায়।” কিশোরগঞ্জের একমাত্র ঐতিহাসিক সাহিত্য সংস্কৃতির সংগঠন “জেগে ওঠো নরসুন্দা”র উপদেষ্টা, কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারি শিক্ষক, আমাদের প্রিয়জন আবু খালেদ পাঠানের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত, শোকাভিভূত। তিনি একজন সংগঠন প্রিয়, মানববান্ধব সামাজিক মানুষ ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ‘ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা’ আয়োজনে ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। আধুনিক মানসিকতা ও মানবিকতা সম্পন্ন একজন গুণীমানুষ আজ চলে গেলেন অধরাদেশে। দোয়াকরি মহান দয়াময় আল্লাহ যেন আবু খালেদ পাঠানকে বেহেশত নসীব করেন।
সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন জেগে ওঠো নরসুন্দার অন্যতম সদস্য শিশু সাহিত্যিক ইমরান পরশ এক শোক বার্তায় বলেন, কিছু মানুষের বিদায় হৃদয়কে বিষন্ন করে। মনটা হাহাকার করে ওঠে। তেমনি এক সজ্জন আবু খালেদ পাঠান। একাধারে শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। ছিলেন কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক সংগঠন জেগে ওঠো নরসুন্দা সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠনের উপদেষ্টা। যে কোনো প্রগতিশীল আন্দোলনের তিনি ছিলেন অগ্র সৈনিক। দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে তিনি জ্বলে উঠেছেন। তার দেশপ্রেম ছিল প্রবল। সেই প্রিয় অগ্রজের বিদায়ে মনটা ভারী হয়ে গেল। দেশ হারালো তার এক সূর্য সন্তানকে। তার এই চির যাত্রা শান্তিময় হোক। স্রষ্টা তার পরিবারকে এই শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিন।
সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন জেগে ওঠো নরসুন্দার সদস্য কবি ও ছড়াকার আসাদুজ্জামান আসাদ এক শোক বার্তায় বলেন, শ্রদ্ধেয় পাঠান স্যার একজন স্বহৃদয়বান দায়িত্বশীল সাংস্কৃতিক মনা মানুষ ছিলেন। স্যারের অহিংস, অসাম্প্রদায়িক বিনয়ী ব্যক্তিত্ব সমাজ বিনির্মাণের ভূমিকায় প্রশংসার দাবীদার। চাপা হাসির প্রগতিশীল মানুষটির যাদুকরী বক্তব্যে ‘জেগে ওঠো নরসুন্দা’র সাহিত্য আসরটি পেত নতুন মাত্রা। যা স্মৃতিচারণে কষ্ট বাড়িয়ে তুলছে। যখন ছড়া উৎসবে কাজ করতে বিভিন্ন কমিটির সদস্যদের মাঝে ক্লান্তি চলে আসত, তখনই তিনি উৎসাহমূলক বক্তব্য দিয়ে প্রাণ দান করতেন। শ্রদ্ধেয় স্যারের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপনা করছি।
এছাড়াও সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলাউদ্দিন, সাবেক সমবায় অফিসার আবুল এহসান অপু, প্রফেসর মো. সিদ্দিক উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাহজাহান, প্রবীণ সাংবাদিক সুবীর বসাক, কবি ও সমালোচক অধ্যাপক শাহজাহান শাজু ও বোরহান উদ্দিন, আবুল কাশেম, অ্যাড. আব্দুল আউয়াল ও কায়সার আহমেদ লিংকন মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
আরো সমবেদনা ও শোক প্রকাশ করেছেন সংগঠনের সদস্য কবি সাঈদুর রহমান, বাবুল রেজা, মো. শাহজাহান কবীর, আসাদুজ্জামান আসাদ, তাহমিনা নিপা, নূর আলম গন্ধি, শামসুল আলম শাহীন, অখিল চন্দ্র সরকার, গাজী মাজহারুল ইসলাম আশিক, মুশফিকুর রহমান, চামেলী দাস, রুমা অঞ্জলী, আকিব সিকদার, শেখ নজরুল ইসলাম, রাশেদ মনির, গোলাপ আমিন, সুবর্ণা দেব নাথ, আফরোজা আফি মন্ডল, মর্তুজা জামাল, মো. আতাউর রহমান, এম. রফিক সারোয়ার, শিল্পী আবুল কালাম, রাজন কুমার দেব নাথ, আলমগীর অলিক, মো. হামিদ, মো. আ. রহমান রফিক, মো. মঈন উদ্দিন, আছমা আক্তার লাভলী, সানজিদ আরা বৃষ্টি, রফিকুল ইসলাম খোকন, অজানা সুবন, মোছাঃ বিলকিছ আক্তার আখি, ডা. জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক কাঞ্চন শিকদার, আব্দুল কাদির, শরফ উদ্দিন হোসাইন জীবন প্রমুখ।