সঞ্জিত চন্দ্র শীল
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)
কথায় আছে,’মাছে ভাতে বাঙালি’। মাছ ও বাঙালি একইসুত্রে গাঁথা৷ কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে টানা দুদিনের বৃষ্টিতে চারিদিক পানিতে থৈ থৈ। আর নতুন পানিতে চলছে মাছ শিকারের মহোৎসব। বর্শি,বিভিন্ন ধরনের জাল,বানা,পলো,চাঁই সহ নানা ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে সহ নানা পেশার মানুষ।
জানা যায়,গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার টানা বৃস্টিতে পুকুর, মাঠ ঘাট সবই তলিয়ে যায়। এতে করে চাষকৃত পুকুরের মাছ চারদিকের পানিতে ছড়িয়ে পড়ে। এসব মাছ ধরে ব্যস্ত সময় পার করছে স্থানীয়রা।
গত রবিবার ও সোমবার এ উপজেলার কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের শতশত মানুষ মাছ শিকারে ব্যস্ত৷ কেউ জাল পেতে বসে আছেন, আবার কেউ বর্শি ফেলে বসে আছেন। এসব বর্শি ও জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুই, কাতল, তেলাপিয়া সহ নানান জাতের দেশীয় মাছ।
উপজেলার ঢেকিয়া,ধূলজুরী,বর্শিকুড়া,দ,পুমদী,দরিয়াবাদ,গোবিন্দপুর,নিরাহারগাতী, বিলচাতল,জামাইল গ্রামে গিয়ে দেখা যায় চাষকৃত ফিশারীর পাশ্ববর্তী ধানক্ষেত ও বিলে মানুষ মাছ শিকারে ব্যস্ত। ধূলজুরী গ্রামের কাঠমিস্ত্রী খোকন মিয়া জানান, তিনি এ পর্যন্ত দুদিনে নিজের খাবারের জন্য রেখেও প্রায় তিন হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছেন৷ বর্শিকুড়া গ্রামের দুলাল মিয়া জানান- প্রায় বিশ হাজার টাকার মাছ মেরেছে। দ,পুমদী গ্রামে টিটু মিয়া বলেন – জাহী জাল দিয়ে এই বৃষ্টিতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মাছ ধরেছে।
ডাহরা গ্রামেন সঞ্জিত চন্দ্র শীল জানান, তিনি বছরে মাঝে মাঝে জাল ফেলে মাছ ধরেন। তবে এবারের মাছ ধরার চিত্র ভিন্ন।জাল ফেললেই বড় বড় মাছ ও মাছের পোনা উঠছে। বিলচাতল গ্রামের কয়েকজন জানান, এ বছরের মতো পানি গত ৩০ বছরেও হয়নি৷ ওই এলাকার একেক জন প্রায় এক মন দুই মন মাছ শিকার করেছেন।
এদিকে, বিভিন্ন এলাকায় সস্তা দামে মাছ বিক্রি করতেও দেখা গেছে অনেককে।