মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
ফেনী সদর থানার আলোচিত ও চাঞ্চ্যলকর স্বামী পরিত্যক্তা নারী ভিক্ষুক’কে গণধর্ষণ মামলার মূলহোতা মেহরাজসহ এজাহারনামীয় ০২ গণধর্ষনকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
১৫সেপ্টেম্বর অভিযানে ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপুল এলাকায় অবস্থানকালে আসামী সালাউদ্দিন (৩৫), পিতা- মৃত আলী আহম্মদ, সাং- চরজুবলী, থানা- নোয়াখালী সদর, জেলা- নোয়াখালী’কে আটক করে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ভিকটিম স্বামী পরিত্যক্তা ভিক্ষুক নারী চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ভিকটিম জৈনক মেহরাজ এর সাথে ভুক্তভোগী ভিকটিমের পরিচয়ের এক পর্যায়ে মেহরাজ ভিকটিমকে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে এবিএম ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিকদের শোয়ার কক্ষে নিয়ে যায়। অতঃপর কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেহরাজ এবং তার অন্যান্য ৭/৮ জন সহযোগী মিলে পালাক্রামে একাদিকবার জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ধর্ষণকারীরা ভিকটিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পাশে রেখে পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্যাতিত ভিকটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। উক্ত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষনের ঘটনাটি ফেনীসহ সাড়াদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ঘটনায় ভুক্তভোগী ভিকটিম বাদী হয়ে ০৮ জন’কে এজাহারনামীয় এবং ০২/০৩ জন’কে অজ্ঞাতনামা করে ফেনী মডেল থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
অমানবিক,পাশবিক, মস্তিস্ক বিকৃত ও নিকৃষ্ট চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে র্যাব-৭, সূত্রে বর্ণিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত নজরদারীর এক পর্যায়ে গোপন সংবাদে এজাহারনামীয় আসামী সালাউদ্দিন ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপুল এলাকায় হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আসামী সালাউদ্দিন এর স্বীকারোক্তি ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গণধর্ষণের মূলহোতা পলাতক আসামী মেহরাজ ফেনী জেলার দাগনভূইয়া থানাধীন ধীলপুর এলাকায় অবস্থানকালে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক আসামী এবং তারা পরস্পর যোগসাজশে ভিক্ষুক নারী’কে আর্থিক সহায়তার কথা বলে এবিএম ব্রিক ফিল্ডে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে বলে স্বীকার করে এবং উক্ত ঘটনার পর হতেই তার ছদ্মবেশ ধারণ করে ফেনী জেলার বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে করে মর্মে স্বীকার করে। আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।