কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি::
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রীসহ ০২ চোরাকারবারী ও ১৯৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০১ মাদককারবারী কে আটক করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প।
র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও দিক নির্দেশনায় সিনিঃ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী এর নেতৃত্বে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ভোর অনুমান ০৪.০০ ঘটিকায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন দূর্জয়মোড় এলকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ ফজলু মিয়া (২৬), পিতা- মোঃ আঙ্গুর মিয়া, সাং-ধরাধরপুর, থানা- দক্ষিন সুরমা, জেলা- সিলেট, ২। মোঃ মামুন মিয়া (১৯), পিতা- মোঃ বাচ্চু মিয়া, সাং-ওয়েজখালী, থানা- সুনামগঞ্জ সদর, জেলা-সুনামগঞ্জদ্বয়কে আটক করেন। এসময় ধৃত আসামীদের দখল হতে ০১ টি ট্রাক তল্লাশী করে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতীয় (১) ৮০,৬০০ পিছ কিটকেট চকলেট (২) ১০৪৪ পিছ ভাটিকা হেয়ার ওয়েল, (৩) ১০৪৪ পিছ ডাবর টুথ পেষ্ট, (৪) ৪৪৬ পিছ জুনিয়র হরলিক্স, (৫) ১৬২০ পিছ ফিয়ামা সাবান, (৬) ৩৬০ পিছ অলিভ অয়েল, (৭), ৪৮ পিস পন্ডস ব্রাইট বিউটি ক্রিম, (৮) ৬০ পিস জনসন বেবি হেয়ার অয়েল, (৯) ৭২০ পিছ জনসন বেবি সেম্পু, (১০) ৪,৩২০ পিছ নবরতœ হেয়ার অয়েল, (১১) ৯৬০ পিছ ডাবর আমলা হেয়ার অয়েল, (১২) ১৩,৬৩২ পিছ ডাব সাবান, (১৩) ৫২৮ পিস সেভেন অয়েল হেয়ার অয়েল, (১৪) ৫২৮ পিস বোরো প্লাস ক্রিম, (১৫) ৬০ পিছ নবরতœ হেয়ার অয়েল, (১৬) ১১,৫২০ পিছ কাবেরী মেহেদী, (১৭) ১১,৫২০ পিছ মিনি প্যাক সেম্পু, (১৮) ৭৫০ পিছ এলোভেরা জেল (১৯) ০১ টি বড় ট্রাক, (২০) ০৩ টি পুরাতন স্মার্ট/বাটন ফোন উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৭৫,০০,০০০/- (পঁচাত্তর লক্ষ) টাকা।
অপর অভিযানে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন রেলওয়ে স্টেশন এলকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ বাবুল হোসেন (৪০), পিতা-মোঃ সামসু মিয়া, সাং- সাতগাঁও, থানা-বিজয়নগর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আটক করেন। এসময় ধৃত আসামীর দখল হতে ০১ টি মোটর সাইকেল তল্লাশি করে ১৯৯ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
ধৃত আসামীগন দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরা চালানের মাধ্যমে অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রয় করে মর্মে স্বীকার করেন।
উদ্ধারকৃত ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।