বিশেষ প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ভূজপুরের দাঁতমারা এলাকা হতে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার; মূল অপরণকারী মোহাম্মদ টিটু’কে ০২ জন সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম।
৬আগস্ট ভূজপুর থানাধীন দাঁতমারা এলাকায় অবস্থানকালে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোহাম্মদ টিটু (৩০) ও আমজাদ হোসেন রুমেন (২৩),কে আটক করে।
এবং ভিকটিম এর মা’র সনাক্ত মতে তার নাবালিকা কিশোরী মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আসামির নাম পরিচয় জানা যায় মোহাম্মদ টিটু (৩০), পিতা-আহমুদুল হক, সাং-হাইদচকিয়া, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম,ও আমজাদ হোসেন রুমেন (২৩), পিতা-দুলাল মিয়া, সাং-হাইদচকিয়া, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ৩। রুবি বেগম (৩৮), স্বামী-জাহাঙ্গীর আলম, সাং- বারমাসিয়া, থানা-ভূজপুর, জেলা-চট্টগ্রাম।
অপহৃত ভিকটিম ১৬বছর বয়সের সনাতন ধর্মাবলম্বী কিশোরী এবং স্থানীয় একটি স্কুল থেকে ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। অপহৃত ভিকটিমের সাথে আসামী বখাটে মোহাম্মদ টিটু এর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমের পরিবার আসামী টিটু’র পরিবারকে অবগত করেন। এতে টিটু ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম এর পিতা-মাতাকে হুমকি দেয় যে, সে যেকোন সময় তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে।
গত ৩১জুলাই-২৩ দুপুর আড়াই টায় ভিকটিম কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বাহির হলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামী টিটু এবং তার ০১সহযোগী ভিকটিমকে অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাস যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম সময়মত বাসায় না ফেরায় ভিকটিমের বাবা-মা আত্বীয় স্বজনদের বাসাসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে অপহরণের ঘটনাস্থালে এসে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে জানতে পারে যে, তার মেয়েকে টিটু নামক এক যুবক তার অপরাপর সহযোগীদের সহায়তায় অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে।
ঘটনায় মা বাদী হয়ে গত ৩আগস্ট ভূজপুর থানায় টিটু’কে প্রধান আসামী ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে একটি অপরহণ মামলা দায়ের সহ মেয়েকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের আটকের জন্য ভিকটিমের মা চন্দনা রানী দে র্যাব-৭,বরাবর অভিযোগ দাখিল করে।
উক্ত অভিযোগে অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত নজরধারীর এক পর্যায়ে গোপন সূত্রে অপহরণকারীরা ভূজপুর থানাধীন দাঁতমারা এলাকায় অবস্থানকালে ভিকটিম এর মা’র সনাক্ত মতে তার নাবালিকা কিশোরী মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ টিটু এজাহার নামীয় আসামী মর্মে স্বীকার করে এবং আমজাদ হোসেন রুমেন অপহরণের কাজে যানবাহন সহায়তাকারী এবং রুবি বেগম আসামী এবং ভিকটিমকে তাহার বাড়িতে আশ্রয় দানকারী মর্মে স্বীকার করে। আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।