সঞ্জিত চন্দ্র শীল
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কফিনের অদলবদলের কারণে সৌদি আরবে মৃত্যুবরণকারী কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জগদল গ্রামের মোঃ তৈয়েব আলীর ছেলে মোজাম্মেল হকের লাশ প্রথমে দাফন হয়ে যায় যশোরে শার্শা উপজেলার বাগুড়ী গ্রামে। সৌদিতে মৃত মোজাম্মেলের ভাতিজা মোঃ নাহিদ হাসান জিকো জানান ,গত ১৭ জুলাই সৌদি আরবের রিয়াদে মৃত্যু হয় মোজাম্মেলের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভুল সনাক্তের কারণে লাশটি যশোরের রুবেলের বাড়িতে চলে যায় এবং সেখানেই প্রথম মোজাম্মেলের লাশ দাফন করে রুবেলের স্বজনেরা। সৌদি থেকে রুবেলের কফিনে ভুলে মোজাম্মেলের লাশ গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসে। এর পর পরই সৌদির হিমঘর থেকে লাশ বদল হয়ে গেছে বলে সেখানে থেকে মোজাম্মেলের সহকর্মীরা হোসেনপুরে তার স্বজনদেরকে জানায়। এরই মধ্যে গত ২৬ জুলাই ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাশটি গ্রহণ করে রুবেলের পরিবার। ওই দিন বিকেলে লাশটি বাড়িতে পৌঁছানোর পর কফিন খুলে স্বজনরা লাশটি রুবেলের নয় বলে সনাক্ত করলেও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনসহ উপস্থিত সবাই লাশটি বিকৃতি হয়ে গেছে বলে দ্রুত দাফন সম্পন্ন করতে বলায় রাতেই জানাজা শেষে স্থানীয় সরকারি কবরস্থানে তার দাফন করা হয়। তিনি আরো জানান,গত ১৭ জুলাই সৌদি আরবের রিয়াদে মৃত্যু হয় মোজাম্মেলের(৩২) এবং যশোরের শার্শা উপজেলার বাগুড়ী গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২২) সৌদিতেই গত ৩ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় নানা আনুষ্ঠানিকতায় গত বৃহস্পতিবার তারা লাশ আনতে প্রমাণসহ যশোরের শার্শায় রুবেলদের বাড়ি যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন যে, সৌদি থেকে পাঠানো কফিন বক্সের ওপর মোজাম্মেলের বদলে রুবেলের মা-বাবার নাম ও পূর্ণ ঠিকানা লেখা ছিল। ফলে বিমানবন্দর থেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা লাশের কফিন বক্স তাদের কাছে হস্তান্তর করার সময় কেউ আর লাশের বক্সটি খুলে নাম ঠিকানা দেখেনি । তাই এ অনাকাঙ্খিত ভুলে হয়ে যায়। অতঃপর মোজাম্মেলের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে ওই সরকারি কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলনের পর সেটি মোজাম্মেলের বলে সনাক্ত করে তার শ্যালক ছেলে ইনামুল হক। সেখান থেকে হোসেনপুরে নিয়ে এসে গতকাল শুক্রবার নিজ বাড়ি জগদলে ফের দাফন করা হয় মোজাম্মেলের লাশ। বিষয়টি এলাকায় দারুন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।