নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ কিশোরগঞ্জে অবৈধ ইটভাটা গুলো চলে এককালীন লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে ফলে সরকারি অনুমোদন বা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের নেই কোন প্রয়োজন গর্বের সহিত বলেন, চিলাকাড়া, পাকুন্দিয়া, মর্ডাণ ব্রিকসের লোকজন।
এটাই এখন কিশোরগঞ্জের ইটভাটা গুলোর বাস্তব চিত্র। অনেক মালিক টাকার বিনিময়েই চালাচ্ছেন ইটভাটাগুলো যার ফলে মাঝ – মধ্যে চলে লোক দেখানো অভিযান। এতে অনিয়মসহ পরিবেশে দূষণ বেড়েই চলেছে। সাথে শিশু শ্রমতো এখানকার নিত্যদিনের ঘটনা কমতি নেই নিয়মের বাহিরে বিদ্যুৎ ব্যবহারও। এলাকার রাস্তা বন্ধ করে নিজের ইচ্ছে মতো এমনি ভাবে একটি ইটের ভাটা দীর্ঘ যাবৎ চলছে পাকুন্দিয়া উপজেলার চিলাকাড়া মর্ডাণ ব্রিকস। কিশোরগঞ্জের বিভন্ন উপজেলার কৃষি জমি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে নির্মিত হচ্ছে একের পর এক অবৈধ ইটভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের লাইসেন্স ব্যতীত ইটভাটায় দেদারছে পুড়ছে ইট। হুমকির মুখে স্থানীয় পরিবেশ। ভাটার কালো ধোঁয়ায় বিষাক্ত হয়ে উঠেছে কৃষি অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদ। প্রভাবশালী মালিকদের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না সাধারণ মানুষ। কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে আইনের তোয়াক্কা না করেই গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটাগুলো। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। যার কারণে দিন দিন ইটভাটা মালিকদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে।
কিশোরগঞ্জের ১১০টি ইটভাটার মধ্যে ৭৩টি ইটভাটার অনুমোদন রয়েছে। বাকি ৩৭টি অবৈধ ইটভাটা অনুমোদনহীন চলে ক্ষমতার জোরে ও টাকার বিনিময়ে এর মধ্যে পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৯টি, বাজিতপুরে ৭টি, অষ্টগ্রামে ৬টি, সদর উপজেলায় ৪টি, কটিয়াদীতে ৪টি, হোসেনপুরে ৩টি, মিঠামইনে ২টি, ইটনায় একটি ও করিমগঞ্জ উপজেলায় একটি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এদিকে পাকুন্দিয়া ও বাজিতপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে একদিকে বায়ুমণ্ডলে ধুলাবালির প্রাদুর্ভাব, অন্যদিকে ইটভাটা থেকে নির্গত দূষিত উপাদানের প্রাদুর্ভাবে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়েই যাচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অবৈধ ইটভাটা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইটভাটা স্থাপনে পিছিয়ে রয়েছে প্রভাবশালী মহল। কাগজপত্রে এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ দেখালেও ভাটায় হরদম পুড়ছে ইট। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে সব অবৈধ ভাটার কার্যক্রম কিন্তু অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
কিশোরগঞ্জের বিভন্ন অফিসের লোকজনকে নিয়মিত বকসিস দিয়ে থাকেন বলেও বলেন মালিক পক্ষের লোকজন। এমনকি বিভিন্ন দিবসে সরকরী অফিসে লাখ টাকা গুণে থাকেন তারা ফলে অবৈধ গুলো বন্ধ হওয়ার কোন তৎপরতা নেই। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সব জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা জারির আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট তবে কিশোরগঞ্জে ইটভাটায় হাইকোর্টের আদেশের বাস্তবায়নে কোন দৃশ্যমান অভিযান নেই বলেই অবৈধ ভাবে চলছে এ ব্যবসা।