মায়াবী কাজল
আমি বিংশ শতাব্দীর নারী,
আমি নারী সব পারি।
আমারও আছে বাকস্বাধীনতা
মানি না কোনো অন্যায় অরাজকতা।
আমি মানবতার গায়িকা মানব সেবিকা,
বর্তমান প্রজন্মের সাহসী লেখিকা।
আমি মানুষ নীরবে সইবো না দুঃখ বেদনা,
জীবন যুদ্ধে হবই জয়ী আছে দৃঢ় চেতনা।
আছে বুদ্ধি, বিবেক,মনোবল,
ভেবো না কেউ আমি দুর্বল।
আমি বিধাতার আর্শিবাদ স্বর্গীয় সৃষ্টি,
সবকিছু অবলোকন করার দিয়েছেন দৃষ্টি।
আমারও আছে জ্ঞান এবং শক্তি,
নরাধমদের করি না শ্রদ্ধা,ভক্তি।
পারবে না আমারে ঘরে রাখতে বন্দী,
হবে কি কেউ একলা পথের সঙ্গী?
যদি না হও তবে পরোয়া করি না
প্রকৃতির সাথে আমি করবো সন্ধি!
আমি স্পষ্টবাদী,আমি জিয়নকাঠি।
আমি নান্দনিক বেশ পরিপাটি।
আমি পরকে আপন করতে জানি,
আমার কলমে,মননে ফুঁটে সত্যের বাণী।
আমি নারী আলোর দীপালি,
আমি নারী মুক্তির দিশারি।
আমি সুর ও প্রেমের গীতালি,
সাহিত্যের সাথে আমার গভীর মিতালি।
আমি নই পুরুষের কেনা পণ্য,
আমি প্রেরণার উৎস,অভয়ারণ্য।
আমি সাধারণ মানুষের জন্য,
মানবকূলে আমি হব একদিন ধন্য।
আমি ইতিহাস পড়ি না ইতিহাস গড়ি,
নারীর অধিকার আদায়ের জন্য লড়ি।
আমি কঠিন, নম্র- ভদ্র – শীতল,
দেশদ্রোহীর হাত-পায়ে দিব শীকল।
আমি এক দুরন্ত পথিক,
আমি বাস্তবতার প্রতীক।
আমি সরল,সহজ প্রাণবন্ত,
ছুটে বেড়াই পাতাল,দিগন্ত।
আমি গদ্য অভিধানের শব্দ,
স্বৈরাচারদের করবো জব্দ।
আমি নারী খুব অভিমানী,
আমি শান্তির সুধাবাণী।
এ প্রজন্মের বুকে বিশুদ্ধ চেতন,
লাল সবুজের বিজয় কেতন।
ঘৃণা করি যারা হৃদয়হীন লম্পট,
আমি বেপরোয়া,জ্বালাময়ী কণ্টক।
যারা নারীকে দিতে জানে না সন্মান,
আমি তাদের যমদূত নিবো গর্দান।
ভেঙে দিয়ে ত্রাসের কালো হাত,
নিরন্ন এর মুখে তুলে দিতে চাই ভাত।
আমি গাই সাম্য,মৈত্রী ও মানবতার গান,
মানব কল্যাণের জন্য নিবেদিত এই প্রাণ।
আমি জাগ্রত, কালের কন্ঠস্বর,
আমি বজ্র, কালবৈশাখী ঝড়।
আমি ভাঙা – গড়ার কারিগর,
আল্লাহ ব্যতীত কারো উপর করি না নির্ভর।