মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের রাউজানে অপহরন মামলার মূলহোতা ও অপহরন পূর্বক হত্যা মামলার দীর্ঘদিন ধরে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক এবং ১০মামলার আসামী বাছনী প্রঃ বাছইন্যা (৪৫) কে আটক করেছে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম।
২০ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় অভিযানে আসামী বাছনী প্রকাশ বাছইন্যাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গত ০৫ অক্টোবর বিকালে ভিকটিম মোঃ নাসের আহমেদ রানা তার ফুফাত বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। ঐদিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় নাসের আহমেদ তার ফুফাত বোনের জামাতা সহ বাড়ি ফেরার জন্য রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় আসামী বাছনী এবং তার আরও কয়েকজন সহযোগী তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি প্রাইভেটকারযোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম নাসের আহমেদ এর লাশ পাওয়া গেলে ৫ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলার পর হতে গ্রেফতার এড়াতে পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
এছাড়াও গত ৩০ ডিসেম্বর-৯৭ ইং আসামী বাছনী জনৈক ভিকটিমের ঢুকে পুলিশ ধাওয়া করে বলে একটু আশ্রয় চায়। পরবর্তী বাছনী ভিকটিমকে পুলিশ আসছে কিনা একটু দেখতে বলে। ভিকটিম বাড়ির বাহিরে গেলে আসামী বাছনী তার সহযোগীদের সহায়তায় টেক্সিতে করে ভিকটিমকে অপহরণের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিম চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত বিচার কার্য পরিচালনা শেষে গত ১২ অক্টোবর ২০১১ আসামী বাছনীকে ০৭বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং আসামী বাছুত এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত অপহরন মামলার মূলহোতা ও অপহরন পূর্বক হত্যা মামলার দীর্ঘদিন ধরে পলাতক গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, আসামী বাছনী @বাছইন্যা চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন নোয়াপাড়া চৌধুরীর হাট এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে। উল্লেখ্য যে, উক্ত আসামি তার গ্রেফতার এড়ানোর জন্য কৌশলে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হয়। গ্রেফতারকালীন সময় তার নিকট বিদেশ যাওয়ার পাসপোর্ট ও বিমানের টিকেট সহ তাকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান ও পাচঁলাইশ থানায় হত্যা, অপহরণ এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ সর্বমোট ১০টি মামলা পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।