মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।
ঢাকার পৃথক ৪টি সেলুনে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে ‘র বুক সেলফ বিতরণ। বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বদৌলতে প্রায় সবার হাতেই একটি স্মার্ট ফোন রয়েছে। ক্লিক করলেই সারাবিশ্ব হাতের মুঠোয়। তবুও যারা নিরন্তর বসে বসে লিখে গেছেন বা লিখছেন কবিতা, গল্প উপন্যাস, প্রবন্ধ বা শিক্ষনীয় অন্যান্য রচনাবলী,তাদের সেসব লেখাগুলো অনলাইনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া বইয়ের মলাটের সুগন্ধও সেখানে বোধহয় পাওয়া সম্ভব নয়। মূলত সেলুনে আগত সেবাগ্রহীদের দীর্ঘ সিরিয়ালের ফাঁকে সময় কাটাতে আকর্ষণীয় বই বা শিক্ষনীয় গ্রন্থ নজরে পড়লে বই পড়ার ইচ্ছে জাগ্রত হবে পাঠকদের মাঝে।পরক্ষণে পড়ে জ্ঞানের পরিধি বাড়াবে সেবাগ্রহী।বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও দেশের বাইরে অনেক সেলুনে এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায়
আজ দিনব্যাপী ঢাকার মিরপুরে চারটি সেলুনে পাঠাগার স্থাপন করার কাজ সম্পন্ন।আর এ পাঠাগারের উদ্বোধন করেন দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও আবৃত্তি প্রশিক্ষক এবং আন্তর্জাতিক শিল্পীমৈত্রী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি জাহান বশীর।
এসময় উদ্বোধক জাহান বশীর বলেন, “সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে” – সময়ের প্রয়োজনোপযোগী একটি কার্যক্রম। যার উদ্ভাবক এবং কর্ণধার কবি গোলাম মাওলা জসিম।একান্তই নিজের উদ্যমে নিজ অর্থ ব্যয়ে তিনি জনকল্যাণার্থে এই কার্যক্রমটি শুরু করেছেন। যেখানে ক্রমশঃই হারিয়ে যাচ্ছে মানবতা। স্বার্থান্বেষী, সস্তা জনপ্রিয়তার উচ্চমাত্রার জ্বরে ভুগছেন সাহিত্য ও সংস্কৃতির নেতৃগোষ্ঠী। সেখানে নীরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন এই মানুষটি, যোগ করেন তিনি।
সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র উদ্যোক্তা কবি গোলাম মাওলা জসিম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কারণে নাটকীয়ভাবে তরুণ প্রজন্মের যোগাযোগের পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। আর এর ফলে মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কমে গেছে। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বইয়ের পাঠক। পাঠবিমুখতা দূর করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে আমার এ উদ্যোগ।এক্ষেত্রে সেলুন অন্যতম একটি স্থান।যেখানে সময়ের সঠিক ব্যবহারে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাবে।
মিরপুর ১ ও ২ নম্বরে ভিআইপি সেলুন, ডলফিন সেলুন, স্মার্ট হেয়ার ড্রেসার সেলুন সহ পৃথক সেলুনে বুক সেলফ হস্তান্তর কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন
আবৃত্তিশিল্পী, প্রশিক্ষক ও সংগঠক মাসুদ রানা, আবৃত্তিশিল্পী প্রত্যয় বিশ্বাস, বৃষ্টি ভদ্র ও জেরিন আফিয়া জিদনি প্রমূখ।
উল্লেখ্য, অবসরে বই পড়ুন’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ৩০ জুন গোলাম মাওলা জসিমের নিজ এলাকা নোয়াখালীতে রতনের সেলুনে বই ও আলমারি বিতরণের মাধ্যমে এ ব্যতিক্রমী কার্যক্রম শুরু হয়।যা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে।