এম এ আকবর খন্দকারঃ-কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার বোরগাও বিলাসী পাড়া এলাকায় হাওয়া ও আনোয়ারের পরকীয়ার ঘটনা দেখে অভিভাবকদের বিষয়টি অবহিত করায় প্রত্যক্ষদর্শীর হাত পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মতি বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে
পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বোরগাও বিলাসী পাড়ার মতিউর রহমান মতির পুত্র আনোয়ার ও ফজলুর রহমানের মেয়ে হাওয়াকে দেড় মাস পূর্বে বাড়ির সামনে বাংলা ঘরে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় দেখতে পায় আবদুল হাকিমের স্ত্রী রৌশনারা। বিষয়টি মতিউর রহমান ও ফজলুর রহমানকে জানালে ২ অবিভাবক রৌশনারার বাড়িতে হামলা করে আবদুল হাকিম তার স্ত্রীরৌশনারা কে পিটিয়ে আহত করে। পরে রৌশনারার বিরুদ্ধে স্থানীয় গ্রাম্য শালিশের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে। ধার্যকৃত টাকা দিতে না পারায় মতি বাহিনী ও ফজুল বাহিনীর লোকজন তাদের কে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এমতাবস্হায় রৌশনারার পরিবার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেশ কিছুদিন অবস্হানের পর ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপারকে অবহিত করে বাড়ি ফিরলে পরদিন সকালে ফজলুর রহমান গং লোহার রড দিয়ে রৌশনারার হাত পা ভেঙে ফেলে। এ সময় এলাকাবাসী রৌশনাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে তাড়াইল থানা পুলিশ মুমুর্ষ অবস্হায় রৌশনাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলেও কর্তব্যরত ডাক্তার রৌশনার আবস্হা আশংকা জনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্ররণ করে। উক্ত ঘটনায় ৮ সেপ্টেম্বর তাড়াইল থানায় ৭ জন কে আসামী করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং- ২৮১২৩/১। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশ ১ জনকে আটক করছে। অন্য একটি সূত্রের মতে স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় মতি ও তার পুত্র আনোয়ার ধরা ছোয়ার বাহিরেই রয়ে গেলো। ফলে এলাকায় রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।