শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
ভেঙ্গে গেছে রাস্তা ও দুই কালভার্ট হুমকির মুখে বসতবাড়ি এলাকাবাসীর মানববন্ধন :পীরগাছায়
-
প্রকাশ কাল
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২
-
১৬৪
বার পড়েছে
দৈনিক তোকদার নিউজ পোটাল থেকে,মোঃরফিকুল ইসলাম লাভলু,রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ-
রংপুরের পীরগাছায় অপরিকল্পিত ভাবে কাটা নদীর খাল খনন করায় ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে ৫ শতাধিক পরিবার। ইতিমধ্যে ভেঙ্গে গেছে প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়ক ও দুইটি কালভার্ট। হুমকির মুখে পড়েছে বড় দুইটি ব্রীজ ও আবাদি জমি।বুধবার ভাঙ্গনের সম্মুখীন দুই শতাধিক মানুষ খালের পাড়ে মানববন্ধন করেছে। স্থানীয় পশ্চিমদেবু আমডারা কাটা নদী খালের উপর এ মানববন্ধন করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে তাম্বুলপুর ও পীরগাছা ইউনিয়নের উপর দিয়ে আলাইকুমারী নদীর সংযোগের কাটা নদীর খাল প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত ভাবে খালটি গভীর ভাবে খনন করেন কাটা নদী খাল প্রকল্প সমিতি। চলতি বর্ষায় অবিরাম বর্ষণে প্রায় ১২ কিলোমিটার খালের অংশের তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিমদেবু আমডারা গ্রামের দুই কিলোমিটার জুড়ে দেখা দেয় তীব্র ভাঙ্গন। পানির তীব্র রাতে খালের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ভাঙ্গনের সৃষ্টি করে। এতে খালের দুই পাড়ের বসবাসরত ৫ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি, দুই কিলোমিটার রাস্তা ও আবাদি জমি ভাঙ্গনের মুখে পড়ে। ভেঙ্গে যায় সদ্য নির্মিত দুটি কালভার্ট। মাটি সরে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে আরো দুটি বড় ব্রীজ ও ১০টি বসতবাড়ি। স্থানীয় লোকজনের চলাচলের চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার মানুষজন পড়ছেন মহাবিপদে। গতকাল বুধবার ওই গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ ভাঙ্গণ রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য খালের পাশে মানববন্ধন করেন। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেন নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোররা। এতে বক্তব্য দেন, সমাজ সেবক আক্তারুজ্জামান মিজান, হায়দার আলী, মাওলানা সাইফুল ইসলামসহ অনেকে। বক্তাগন বলেন, আমরা রাতে ঘুমাতে পারি না। খাল কেটে আমরা কুমির এনেছি। তাই আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। দ্রুত এই ভাঙ্গণ রোধ করা না হলে দুই শতাধিক পরিবার নি:স্ব হয়ে যাবে।পরে ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফীন, উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজা, বজলুর রশিদ মুকুল ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওয়াজেদ আলী সরকার।পরিদর্শনে আসা কর্মকর্তারা অপরিকল্পিত ভাবে খাল কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে ভাঙ্গন কবলিত দুই কিলোমিটার এলাকায় খালের দুই পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য সব কাগজপত্র ঠিক করা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুম ছাড়া এ কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
শেয়ার করুন
অন্যান্য সংবাদসমূহ
প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST