1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
করিমগঞ্জ এগ্রো অফিসার্স এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন মিষ্টির বক্স থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার ১২ বছর বয়সেই আলিফের কাঁধে সংসারের ভার ময়মনসিংহের চর নিলক্ষীয়ায় পুলিশের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র ও নরসুন্দা নদে নাব্যতা সংকট বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন পঞ্চগড় জেলা শাখার কমিটি অনুমোদন ময়মনসিংহের চরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত হলো রশি টান ফাইনাল খেলা হোসেনপুরে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় প্রাথামিক শিক্ষার বেহাল দশা, ২৭ স্কুলে নেই প্রধান শিক্ষক মামলা তুলে না নিলে খুন জখমে হুমকি নিরাপত্তাহীনতায় দরিদ্র দিনমজুর পরিবার নান্দাইল ও মধুপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের যৌথ মতবিনিময় সভা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন‍্যার আশঙ্কা ভাঙছে নদী বিলিন ফসলি জমি

  • প্রকাশ কাল সোমবার, ২০ জুন, ২০২২
  • ২৩৪ বার পড়েছে
News
বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ-


গত এক সপ্তাহ ধরে টানা অবিরাম বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে সেই সাথে বন‍্যার রুপ ধারণ করছে।নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে ফসলি জমি,রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে দেড় হাজার পরিবার। ভাঙনের মুখে হাজারও একর ফসলি জমি ও শতাধিক বসতবাড়ি।গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার পানি বর্তমানে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উপজেলার হরিপুর, শ্রীপুর, চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের তথ্য মতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০০টি পরিবার এবং ৩০০ হেক্টর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। উজানের ঢলে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কমপক্ষে দেড় হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পানিবন্ধি পরিবারগুলো আশ্রয় কেন্দ্র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।হরিপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর গ্রামের মন্টু মিয়া জানান, পানি এখনও ঘরের ভিতরে উঠেনি। তবে যে হারে পানি বাড়ছে, তাতে করে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘরের ভিতরে পানি ঢুকে যাবে। তিনি আরও বলেন গত এক সপ্তাহের নদী ভাঙনে তার ৩ বিঘা জমি উঠতি তোষাপাটসহ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মন্জু মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের কমপক্ষে ১ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ৫০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। অনেক পরিবার ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গোটা চরাঞ্চলের কমপক্ষে ৫ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন ভাঙন ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় হাজারও পরিবার ভাঙনের সন্মুখিন হয়ে দাড়িয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া চরাঞ্চলে চলাচল দূরহ ব্যাপার হয়ে দাড়িছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিকট হতে পানিবন্ধি ও নদী ভাঙনের শিকার পরিবারদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পানিবন্ধি পরিবারদের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়নি। ইতিমধ্যে বানভাসিদের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া মজুত রয়েছে ১০ মেট্রিক টন চাল।উপজেলা নিবার্হী মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, তিস্তায় পানি বাড়ছে। এখনও সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বন্যায় বানভাসিদের সহায়তায় সকল রকম প্রস্তুতি রয়েছে।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST