রংপুরের কাউনিয়ায় দুলাভাইয়ের ছোট ভাই ফরিদুল ইসলামের(২২)বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাওয়াতো বোন কিশোরীকে(১৭)ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে।ওই কিশোরীর বোন বাদী হয়ে বুধবার রাতে কাউনিয়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের পর ফরিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ফরিদুল ইসলাম উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের হয়বৎখা নয়াবাজার গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।কাউনিয়া থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে,ওই কিশোরী লালমনিরহাট হাতীবান্ধা উপজেলার বাসিন্দা।তার পিতা মাতা জীবিত না থাকায় সে দুলাভাই এরশাদুলের বাড়ীতে বড় বোনের সাথে বসবাস করে এবং স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে লেখাপড়া করেন।এরশাদুল ও তার স্ত্রী কাজে বাহিরে থাকায় ফরিদুল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাওয়াতো বোন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।বিষয়টি জানতে পেরে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি কাউকে না বলতে ওই কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখায় ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করায় ফরিদুল।গর্ভপাতের পর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী।পরে তার বোন তাকে মেরী স্টোপস(প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও কল্যান)কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা নেয়।সুস্থ্য হয়ে ওই কিশোরী ধর্ষণ ও বাচ্চা নষ্ট করার ঘটনার বিবরণ তার দুলাভাই ও বোনকে জানায়।পরে ওই কিশোরীর বোন বিষয়টি তার শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে জানায়।কিন্তু তারা কোন কর্ণপাত করে না।পরে নিরুপায় হয়ে বুধবার রাতে এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর বোন।কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুমুর রহমান জানান,এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়েরের পর পরই রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফরিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল রংপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।