অনলাইন ডেস্ক:-
১৪৪৩হিজরি সনের হজের সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের জন্য হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হচ্ছে আজ(সোমবার ১৬মে)থেকে।তিনদিনের এ নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে আগামী বুধবার(১৮মে) পর্যন্ত।
এদিকে হজ প্যাকেজের পুরো টাকা পরিশোধের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করার কথা থাকলেও অনেক হজযাত্রী হজের পুরো টাকা এক সঙ্গে পরিশোধ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবে কী না তা’ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সবশেষ গতকাল রবিবার(১৫মে)তৃতীয় ধাপে ৮০টি হজ এজেন্সিকে হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।এনিয়ে ৭৮০হজ এজেন্সি হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমতি লাভ করলো।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি সরকারের বিধিনিষেধের মুখে গত দুই বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীরা হজ পালন করতে পারেননি।এবার সরকারিভাবে হজে যেতে ২টি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।প্যাকেজ-১এর মূল্য ৫লাখ ২৭হাজার ৩৪০টাকা এবং প্যাকেজ-২এর মূল্য ৪লাখ ৬২হাজার ১৫০টাকা।বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৪লাখ ৬৩হাজার ৭৪৪টাকা।হজ এজেন্সি অনুমোদনের আদেশে বলা হয়েছে,প্রত্যেক হজযাত্রীর সঙ্গে হজ অনুমোদন পাওয়া এজেন্সিগুলোর লিখিত চুক্তি করতে হবে।প্রত্যেক এজেন্সি চলতি বছর সর্বোচ্চ ৩০০জন এবং সর্বনিম্ন ১০০জন হজযাত্রী হজে পাঠাতে পারবে।লীড এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে আজ হজযাত্রী ট্রান্সফার কার্যক্রম শেষ হচ্ছে।যেসব হজ এজেন্সি গতকাল অনুমোদন পেয়েছে তারা এক দিনের মধ্যে হজযাত্রী ট্রান্সফার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে কী না তা’নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
যেসব এজেন্সির লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এবং এ পর্যন্ত হালনাগাদ কাগজপত্রাদি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেনি,বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তি বা জরিমানা পাওয়া,সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ তদন্তাধীন এ ধরনের এজেন্সিসমূহের নাম প্রকাশ করা হয়নি।তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সির তথ্য ভুল বা অসত্য প্রমাণিত হলে এবং কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কারণ দর্শানো ছাড়াই সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিলের অধিকার সংরক্ষণ করে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পাবেন।এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩হাজার ৫৮৫জন হজে যেতে পারবেন।