বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
-
প্রকাশ কাল
শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২
-
২২৮
বার পড়েছে
ছবি:দৈনিক তোকদার নিউজ.কম থেকে জামায়াতের সাবেক এমপি খালেকসহ ২জনের ফাঁসির রায়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা,গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার(২৪মার্চ)ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো:শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন খান রোকনুজ্জামান।তিনি পলাতক।
এর আগে গত ২২মার্চ রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও রেজিয়া সুলতানা চমন।আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার ও গাজী এম এইচ তামিম।
গত বছরের ১১নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ দুজনের মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
২০১৮সালের ১৫এপ্রিল সূচনা বক্তব্য এবং সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হয়।
জানা যায়, ২০১৭সালের ১৯মার্চ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।মামলায় তখন চার জন আসামি ছিলেন।এর মধ্যে খালেক মণ্ডল কারাবন্দি।বাকি দুজন মারা গেছেন।
খান রোকনুজ্জামান এখনো পলাতক।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা,ধর্ষণ,আটক,নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।যার মধ্যে ছয় জনকে হত্যা,দুজনকে ধর্ষণ,১৪জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
২০১৫সালের ১৬জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদরাসায় নাশকতার উদ্দেশ্যে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গোপন বৈঠকের অভিযোগে আব্দুল খালেক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই বছরের ২৫আগস্ট খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় ট্রাইব্যুনাল।
শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচ জনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯সালের ২জুলাই খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী।
এ মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে ২০১৫সালের ৭আগস্ট তদন্ত শুরু হয়।তদন্তে জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৬০জনকে সাক্ষী করা হয়।
শেয়ার করুন
অন্যান্য সংবাদসমূহ
প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST