এবার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং ডটকমের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কাপড়ের ব্যবসায়ী একজন ভুক্তভোগী।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০থেকে ১৫জনকে আসামি করা হয়েছে।মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার(৩ অক্টোবর)রাতে মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোক্তারুজ্জামান।তিনি বলেন,ধামাকা শপিং ডটকমের চেয়ারম্যান ডাঃএম আলী ওরফে মোজতবা আলী ও প্রতিষ্ঠানটির এমডি এসএম জসিউদ্দিন চিশতীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন হাজারীবাগের বাসিন্দা কাপড়ের ব্যবসায়ী নুরুল আমিন নাদিম(৩২)।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন-ধামাকা শপিং ডটকমের পরিচালক সাইদা রোকসানা খানম(৫৪)সিইও মোঃসিরাজুল ইসলাম রানা(৩৮)হেড অব অ্যাকাউন্টস দেবকর দেশুভ(৩২)পরিচালক অপারেশন নাজিম উদ্দিন আসিফ(২৯)পরিচালক সাফওয়ান আহমেদ (৪১),সিস্টেম ক্যাটাগরি হেড আমিনুর হোসাইন (৪১), ডেপুটি ম্যানেজার ও সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার আসিফ চিশতী(২৬)ক্যাটাগরি হেড ইমতিয়াজ হাসান(৩৫)ভাইস প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম স্বপন ওরফে মিথুন খান(৩৫)উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরোধ বারানরয়(৪৫),ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাশফির রিদওয়ান চিশতী(২২)পরিচালক মাসফিক রিদওয়ান চিশতী(২৮)ও শাহমোহাম্মদ ইয়ামিন ইসমাইল(৩০)নামে এক ব্যক্তি।এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামে ১০থেকে ১৫জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।এদিকে ২৩সেপ্টেম্বর টঙ্গীর পশ্চিম থানায় এক ভুক্তভোগী ধামাকা শপিং ডটকমের চেয়ারম্যান,ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তাসহ(সিও)১১জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।গত বুধবার(২৯সেপ্টেম্বর)ওই মামলায় তিনজকে গ্রেফতার করে র্যাব। তারা হলেন-সিরাজুল ইসলাম রানা ধামাকার সিও,ইমতিয়াজ হাসান সবুজ মোবাইল ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইলের ক্যাটাগরি হেড এবং ইব্রাহিম স্বপন ক্যাটাগরি হেড(ইলেক্ট্রনিক্স)।
জানা যায়,২০১৮সালে ধামাকা ডিজিটাল যাত্রা শুরু করে।২০২০থেকে ধামাকা শপিং ডটকম নামে কার্যক্রম শুরু করেন তারা।
গ্রেফতাররা ২০২০সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত।গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নেতিবাচক অ্যাগ্রেসিভ স্ট্র্যাটেজি নিয়ে মাঠে নামে।র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন,ধামাকার কোনো প্রকার অনুমোদন ও লাইসেন্স নেই।
এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫০কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে তাদের।বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে তাদের অ্যাকাউন্টে মাত্র লাখখানেক টাকা রয়েছে।সেলার বকেয়া রয়েছে প্রায় ১৮০-১৯০কোটি টাকা,কাস্টমার বকেয়া ১৫০ কোটি এবং কাস্টমার রিফান্ড চেক বকেয়া ৩৫থেকে ৪০কোটি টাকা।