নাটোর শহরের দিয়াড়ভিটা মোড়ে ৪৭ কেজি ওজনের সামুদ্রিক একটি পাখি মাছ বিক্রির জন্য আনা হয়েছিল।পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে আনা সবচেয়ে দ্রুতগতির এই পাখি মাছটি দেখার জন্য সেখানে ভিড় করেন স্থানীয়রা।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশাল আকৃতির এ মাছটি দেখতে ছুটে আসেন শত শত মানুষ।আস্ত মাছ কেনার ক্রেতা না পাওয়ায় মাছটির মালিক শেষ পর্যন্ত কেটে বিক্রি করেছেন।
মাছ ব্যবসায়ী সাগর আলী জানান, মাছটি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে কিনে বিক্রির জন্য বুধবার সকালে নাটোর শহরের নীচাবাজারে ভোলার আড়তে আনেন। দুপুর পর্যন্ত মাছটি বিক্রি করতে না পেরে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্যান নিয়ে ঘুরেন।কোথাও মাছটি বিক্রি করতে না পেরে শহরতলীর দিয়ারভিটা এলাকায় মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে মোট ২৩ হাজার টাকা বিক্রি করেন।
তবে কত টাকায় মাছটি কিনেছেন তা বলেননি সাগর আলী।মাছটি বিক্রি করে তিনি লোকসান গুনেছেন।
তিনি আরও জানান,মাছটির পিঠের দিকে পাখার মতো আছে,সে কারণে এটিকে পাখি মাছ বলেন জেলেরা।এটি মূলত সামুদ্রিক মাছ।মাছগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বাইরে বেশ চাহিদা রয়েছে।মাছটি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে বিক্রির জন্য নাটোর শহরের ভোলার আড়তে নিয়ে আসা হয়।
পাঁচ ফুটের কিছু বেশি লম্বা মাছটির পিঠে চড়া পাখা রয়েছে।মুখের সামনে ছিল রাডারের মতো প্রায় দেড় ফুট লম্বা শুড়।ধূসর বর্ণের মাছটি ছিল মৃত।তবুও দীর্ঘ সময় ধরে আস্ত মাছটি দেখেছে অগণিত মানুষ।
বিডি// নিজস্ব প্রতিবেদক দৈনিক তোকদার নিউজ.কম এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ,তথ্য,ছবি,আলোকচিত্র,রেখাচিত্র,ভিডিওচিত্র,অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।