বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বাদ জোহর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ শিগগিরই দেশে আনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।সোমবার ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।
গত শনিবার রাতে নওশাদ কোমায় চলে যাওয়ার পর থেকেই ফেসবুকে এই ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে। তিন সন্তানের সঙ্গে নওশাদের এই ছবিটি শেয়ার করে তার বন্ধুবান্ধব, সতীর্থ, সহকর্মীরা তার ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু টানা ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় কোমায় থেকে আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
এদিকে ক্যাপ্টেন নওশাদের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ফেসবুকে তার টাইম লাইনে অনেকেই সমবেদনা জানাচ্ছেন। তার সঙ্গে তোলা বিভিন্ন ছবি শেয়ার করছেন।
গত শুক্রবার মাসকাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি ০২২ মোট ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। এরপর নাগপুরের ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়।
শনিবার রাতেই নওশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তিনি ‘কোমায়’ চলে যান।
এরপর সোমবার তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে নওশাদকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিডি// নিজস্ব প্রতিবেদক দৈনিক তোকদার নিউজ.কম এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ,তথ্য,ছবি,আলোকচিত্র,রেখাচিত্র,ভিডিওচিত্র,অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।